সিলিকন ও পলিপ্রপিলিন গ্লাইকলের মিশ্রণে এক ধরনের কৃত্রিম চামড়া তৈরি করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। রোবটের মতো সেনা সদস্য নির্মাণে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি তাদের। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার জনপ্রিয় 'টারমিনেটর' সিনেমায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটির গবেষণা দলের পক্ষে এক ভিডিওর মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি রোবটের শরীরের ভাঙা অংশ টেবিলের উপর রাখা রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ওই অংশগুলি নিজে থেকেই সংযুক্ত হয়ে যায়। কার্যত একই দৃশ্যই দেখানো হয়েছিল টারমিনেটর সিনেমায়।
বিজ্ঞাপন
গবেষকদের মতে, কৃত্রিম এই চামড়ার কোনও ক্ষতি হবে না। এছাড়াও এই চামড়ায় রয়েছে চুম্বক, এর ফলে কোনও কারণে ছিঁড়ে গেলেও ফের জোড়া লাগবে চামড়াগুলো। ঠিক যেমনটা দ্য টারমিনেটরে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগাগেরর সাইবর্গ চরিত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল।
স্ট্যানফোর্ডের গবেষণা দলের সদস্য ক্রিস কুপার ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, মানুষের শরীরে কোনও ক্ষত সুস্থ হতে সপ্তাহ লেগে যায়। এই রোবট কোনও সাহায্য ছাড়াই নিজের ক্ষত সারিয়ে তুলতে সক্ষম।
অভিনব এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন রোবট বানানো সম্ভব যা প্রয়োজনের ভিত্তিতে নিজের রূপও পরিবর্তন করতে পারবে। আরও একবার, ঠিক যেমনটা সিনেমায় দৃশ্যত।
কীভাবে ক্ষত থেকে সুস্থ হবে চামড়া?
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের চামড়ার মতোই কৃত্রিম চামড়াতেও অনেক স্তর রয়েছে। এই স্তরগুলো ক্ষত থেকে পুনরায় সুস্থ পর্যায়ে ফেরাতে সাহায্য় করে।
গবেষক ড. রুটের ভাষ্য, চামড়ার একটি স্তর চাপ, অন্যগুলো তাপ ও প্রসারণ অনুভব করতে পারবে।
জানা গেছে, ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হলে ক্ষতবিক্ষত চামড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় সুস্থ হয়ে উঠবে। তাপের সংস্পর্শে আসলে এই চামড়ার দুইটি পলিমার উপকরণ নরম হয়ে বিস্তৃত হতে থাকবে, ওই অংশ ঠান্ডা হলে, তা জমাট বেঁধে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
গবেষকদের বিশ্বাস, বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পাশাপাশি এই ধরনের রোবট যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই রোবটের পরীক্ষায় আরও সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এজেড

