শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ট্রেন্ডিং: কীভাবে কাঁদতে হয় ইউটিউব দেখে শিখছে মানুষ!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৩, ১১:২১ এএম

শেয়ার করুন:

ট্রেন্ডিং: কীভাবে কাঁদতে হয় ইউটিউব দেখে শিখছে মানুষ!

শরীর সুস্থ রাখার জন্য হাসি, আনন্দ এমনকি কান্নারও প্রয়োজন রয়েছে। এসব মানুষের শিখতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবে জন্মলগ্ন থেকেই শিখে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বলছে, মানুষ এখন ইউটিউব দেখে শিখছে কীভাবে কাঁদতে হয়। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্যি!

গ্রেট ব্রিটেন আর জাপানের মতো দেশে একাংশের মানুষ লাফটার ক্লাবের মতো ক্রাইং ক্লাবে যান। হাজার-হাজার টাকা খরচ করেন কান্নার জন্য। কান্না পেলেও না কাঁদতে পারাকে এক প্রকার মানসিক সমস্যা বলে মনে করেন মনোবিদদের একটা বড় অংশ। 


বিজ্ঞাপন


আর এই না কেঁদে-কেঁদে, আপনার চোখের পানির উৎপাদনও কমে যেতে পারে। এটা এক ধরনের শারীরিক অবস্থা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলেও এখনও মানুষ এই কান্না নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় না। এখন মন খারাপ হলেও মানুষ সেটা নিয়েও খুব বেশি ভাবে না।

সময় কাটায় না নিজের সঙ্গে, নিজের ফিলিংসের সঙ্গে। তাছাড়া আমাদের সমাজে প্রকাশ্যে কাঁদা যায় না। মন খারাপ হলে সে প্রসঙ্গে হাজার একটা কৈফিয়ত দিতে হয়। এটাও এক ধরনের পারিপার্শ্বিকের প্রভাব ও চাপ, যার চাপে পড়ে মানুষ ভুলে গিয়েছে কান্নাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ‘scheduling grief’-ও ট্রেন্ডিং হয়েছে।

cryingবিজ্ঞান জার্নাল ‘সাইকোথেরাপি’তে প্রকাশিত তথ্য বলছে, একজন মহিলা এক মাসে গড়ে ২ থেকে ৫ বার কাঁদেন। সেখানে একজন পুরুষ কাঁদেন মাত্র একবার। অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ কান্নার পর হালকা বোধ করেন। অন্যদিকে, ১০ শতাংশ মানুষ কান্নার পর নিজেদের আরও বিপর্যস্ত বলে মনে করেন। 


বিজ্ঞাপন


কোনও শান্ত জায়গায় বসে দিনের নির্দিষ্ট সময় কাঁদলে সহমর্মিতা বা সহানুভূতি বাড়ে। তৈরি হয় সামাজিক বন্ধন। স্বস্তির অনুভূতি মেলে। কিন্তু যারা কাঁদতে পারেন না, তাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জার্নাল বা ডায়েরি লেখার পরামর্শ দেন।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, পোস্ট, টুইট, রিলস আজকাল মানুষকে সাহায্য করছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার। বিশেষত, যাঁরা কাঁদতে পারেন না, তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ঠিক যেমন কান্নার টিউটোরিয়াল ভিডিও।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর