বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

একই কর্মীকে দুই বার ছাঁটাই করল মেটা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০১:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

একই কর্মীকে দুই বার ছাঁটাই করল মেটা

আর্থিক মন্দার অজুহাত দেখিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটায় কয়েক দফায় গণছাঁটাই হয়েছে। যার রেশ এখনো রয়েছে। চাকরি হারানো কর্মীদের দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেড়েই চলেছে। চাকরি হারানো এক নারী কর্মী তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক লিংকডইনে। তিনি অভিযোগ করেন একবার নয়, তাকে মোট দুইবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গুজম্যান গ্রাসিয়া লুনা নামের ওই নারী ফেসবুকের পেরেন্ট প্রতিষ্ঠান মেটার প্রাক্তন কর্মী। একবার নয়, দুইবার তাকে ছাঁটাই করেছে মেটা। লিংকডইনে সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন লুনা।


বিজ্ঞাপন


লুনা জানিয়েছেন, প্রথমবার তার উপর ছাঁটাইয়ের কোপ এসে পড়ে ২০১৮ সালে। সে সময় যখন ইন্সটাগ্রাম কমিউনিটি টিমকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, তখন তার কোপ এসে পড়েছিল লুনার উপর। তারপর ফের সেই মেটায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এরপর চলতি গণছাঁটাই অভিযানের ধাক্কায় গত সপ্তাহে ফের কর্মহীন হয়েছেন।

লিংকডইনে লুনা লিখেছেন,  ‘নভেম্বরের ছাঁটাই এবং মার্চ মাসের ঘোষণার পর (যখন আমাদের বলা হয়েছিল ১০ হাজার কর্মী যেন কাজ হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকেন) হয়তো আপনারা ভাববেন যে এবারের ধাক্কাটার জন্য আমি অনেক বেশি প্রস্তুত ছিলাম মানসিকভাবে। কিন্তু দেখা গেল যে তেমনটা হয়নি। আর তার মানে এই নয় যে আমার চেষ্টার অভাব ছিল। আমি একের পর এক পরিস্থিতি এবং বাজেট তৈরি করেছি, কত পরিকল্পনা আটকে রেখেছি, থেরাপির সাহায্য নিয়েছি, তারপরেও যতটা সম্ভব বেশি কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষমেশ যখন সেই দিনটা এল, তখন আমি সামলাতে পারিনি। টানা ২ ঘণ্টা ধরে কেঁদেছি আমি।

meta workerকিন্তু একথা কেন লিংকডইন জানাচ্ছেন তিনি? শুধুই কি খারাপই হয়েছে, কখনওই কি কোনও প্রশংসা পাননি? তার ব্যাখ্যাও নিজেই দিয়েছেন লুনা।

তিনি জানান, তিনি মানসিকভাবে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। লেখেন ‘আমি কোনও কিছুতেই মন দিতে পারছিলাম না। একটা করে দিন যাচ্ছিল, আর আমি বুঝতে পারছিলাম সুস্থ হওয়ার জন্য আমার একটা ছুটি দরকার। গত কয়েক মাস ধরে আমি দেখেছি যে আমার ৮ বছরের ক্যারিয়ারে আমার চেয়ে বেশি মানুষ জুম কলে কান্নাকাটি করেছে, বিভিন্ন চ্যাটে যোগ দিয়েছে যেখানে ছাঁটাইয়ের সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আশঙ্কা শেয়ার করেছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে যাতে মানিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য পাগলের মতো গুগলে ‘মেটা গণছাঁটাই’ লিখে সার্চ করেছে।’


বিজ্ঞাপন


‘যে কোনও দিন আর্থিক স্থিতিশীলতা কেড়ে নেওয়া হতে পারে, এটা জানার পরেও একটানা চাপের মুখে কাজ করে যাওয়ার পর কর্পোরেট জগতে মানসিক স্বাস্থ্য কেমন হয়, সেটা খুব ভালমতো বুঝতে পেরেছি আমি।’ আরও যোগ করেন লুনা।

সেই সঙ্গে তিনি একথাও জানিয়েছেন, মেটায় কাজ করার সময় অসংখ্য ভালো অভিজ্ঞতাও হয়েছে তার। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলের সদস্যরা, সহকর্মীরা তাকে সাহায্য করেছেন, স্বীকার করেছেন লুনা।

কিন্তু এরপর কী করবেন? লুনা জানিয়েছে, টানা ৮ বছর কাজের পর একটু বিশ্রামের সুযোগ পেলে সেটা ভালোই হবে। এই সময়টুকুতে তিনি হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এবং নতুন করে তা তৈরিও করতে সুযোগ পাবেন। হয়তো নতুন কোনও রাস্তায় খুলে যেতে পারে তার সামনে।

‘দয়া করে প্রাক্তন-মেটা কর্মীদের কাজে নিন’। অন্যান্য সংস্থার কাছেও আর্জি জানিয়েছেন লুনা।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর