সব কিছুরই আয়ু থাকে। উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই মেয়াদ রয়েছে। আমরা বাজার থেকে যে সব জিনিস কিনি তাতে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয় যাকে আমরা বলি এক্সপায়ার ডেট। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে কোনও জিনিসই আর ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু আমরা হয়তো কখনও ভেবেও দেখি না যে আমরা যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছি তার মেয়াদ কত এবং কতদিন সেটি ব্যবহার করা যাবে। সবারই জানা উচিত স্মার্টফোনের মেয়াদ কত দিন?
স্মার্টফোন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে নানা ধরনের কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় যা একটি সময়ের পর শেষ হয়ে যায়। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ থাকে না। এতে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
যারা ভাল ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তারা কোনও রকমের রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই কয়েক দশক ধরে নির্দ্বিধায় নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা বছরের পর বছর চলতে থাকে।
তবে এখন স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কোম্পানি দুই থেকে তিন বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাক্সেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।
স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করা উচিত?
স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করতে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবেই ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করছে। অনেকেই ঘন ঘন নিজেদের স্মার্টফোন পরিবর্তন করে বাজারে আসা নতুন স্মার্টফোন কিনে নেন মাত্র ৩ থেকে ৪ মাসের ব্যবধানে। তবে এর কোনও সুফল নেই। এতে করে গ্রাহকদের বাজেটেও টান পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পরিবর্তন করেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এজেড