বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় আইন অত্যন্ত কঠোর: ইলন মাস্ক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ এএম

শেয়ার করুন:

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় আইন অত্যন্ত কঠোর: ইলন মাস্ক

বাক স্বাধীনতার পক্ষে একাধিকবার নিজের মত প্রকাশ করেছেন টুইটার সিইও ইলন মাস্ক। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিনে নেওয়ার পর জানিয়েছিলেন, কারও বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু ভারতের কথা উঠতেই মত বদলে গেল তার।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। তার মতে, ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া আইন ভীষণ কড়া। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে টুইটার ইউজারদের যে বাক স্বাধীনতা দেওয়া হয় তা ভারতীয় ইউজারদের দেওয়া সম্ভব নয়।


বিজ্ঞাপন


ইলন মাস্ক বলেন, প্রায়ই ভারতের একাধিক বিষয়বস্তু ব্লক এবং সেন্সর করে টুইটার। ওই দেশের আইন না মেনে চললে ভারতে টুইটার কর্মীদের জেল হতে পারে। আইনের বিরুদ্ধে তারা যেতে পারেনা।

elon muskপ্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার কেন্দ্র সরকার ও টুইটারের মধ্যে সংঘাত লাগার খবর সামনে আসে। সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে ভারতে নতুন প্রাইভেসি পলিসিও চালু করে মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।

এ প্রসঙ্গে ইলন মাস্ক বলেন, ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় আইন অত্যন্ত কঠোর। আমাদের সেইসব নিয়ম মেনে চলতে হবে নয়তো ভারতে টুইটার কর্মীরা জেলবন্দী হতে পারে। যদিও নির্দিষ্ট কোন আইন নিয়ে তিনি এত চিন্তিত তা প্রকাশ করেননি টেসলা প্রধান।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর নির্মিত বিবিসি ডকুমেন্টারি সম্পর্কিত একটি পোস্ট টুইটার ব্লক করে। সেই বিষয়ে ইলন মাস্ক-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই উত্তর দেন।


বিজ্ঞাপন


ইলন মাস্ক জানান, এই ডকুমেন্টারির বিষয়ে তিনি সেরকম কিছুই জানেন না। ডকুমেন্টারি সম্পর্কিত পোস্ট সেন্সর করার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রথমত, আমি শুনেছি। অন্যান্য কাজ থাকে। টেসলা এবং স্পেসএক্স পরিচালনা করার সময় রাতারাতি বিশ্বব্যাপী টুইটারের প্রতিটি দিক ঠিক করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

elon muskটুইটারে এর আগে অনেক অ্যাকাউন্ট আপত্তিজনক মন্তব্যের কারণে ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। এই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু টুইটারের মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে আসতেই সেই সব অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করার কথা জানান তিনি।

এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভুল তথ্য ও আপত্তিজনক মন্তব্য - কোনটা তথ্য আর কোনটা নয়? আমার মতে একজনের মত অন্যজনের কাছে ক্যালকুলেশনও হতে পারে।

তিনি জানান, টুইটার সমগ্র দেশ এবং সমগ্র বিশ্বকে মন্তব্য রাখার সমান সুযোগ দেয়। এই নিয়ে পক্ষপাতিত্বের রাজনীতি, নৈতিক রাজনীতি হওয়া উচিত নয়।

সূত্র: এই সময়

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর