বাজারে যখন আইফোন ১৪ এসেছিল তখন নতুন ফোন নিয়ে বেশ রঙ্গতামাশা করেছিলেন ইভ জবস। যিনি অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা।
আইফোন ১৪ লঞ্চের পর ইভ জবস বলেছিলেন, নতুন আইফোন সিরিজের মধ্যে নতুনত্ব নেই। আইফোন ১৩ এবং আইফোন ১৪ এর মধ্যে একাধিক মিল খুঁজে পেয়ে টুইট করেছিলেন ইভ।
বিজ্ঞাপন
অ্যাপলের জন্মদাতার মেয়েই যখন উদ্ভাবন সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন, তখন সাধারণ গ্রাহকরা তো বিভ্রান্ত হবেই। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই নিজের মত বদলালেন ইভ জবস। যতই তিনি ফোনটিকে ব্যবহার করছেন, ততই তার পছন্দ হচ্ছে আইফোন ১৪। শুধু তাই নয়। এই ফোন তার এতটাই মনে ধরেছে যে, একদিনও আইফোন ১৪ ছাড়া থাকতে পারছেন না।
দ্য স্ট্র্যাটেজিস্টের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ইভ জবস আইফোন ১৪ সম্পর্কে তার পছন্দের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বলছেন, খুব ছোট্ট করে বলতে গেলে, সৃজনশীল মানুষজনের জন্য এটি একটি হাতিয়ার এবং আধুনিক ডিজাইনের মাস্টারপিস। এই ফোন আমাদের সকলের জীবনযাপনের উপায় পরিবর্তন করেছে। খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমার একান্ত অনুভূতির দিক থেকে এই ফোন আসলে জিনিয়াস, অনন্য প্রতিভা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৪ যখন লঞ্চ করে, ইভ জবস তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হাস্যকর কিছু মিম শেয়ার করেছিলেন। সেই মিমে তিনি তুলে ধরেছিলেন, আইফোন ১৩ এবং আইফোন ১৪ প্রায় একই রকম দেখতে এবং কতটা একরকম তাও মজাদার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
মিম হিসেবে ইভ যে ছবিটি প্রকাশ করেছিলেন, তাতে দেখা গিয়েছিল একটি শার্ট নিয়ে পোজ দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আর যে শার্ট নিয়ে তিনি পোজ দিচ্ছিলেন, সেই শার্টটাই পরেছিলেন ওই ব্যক্তি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, এদিন অ্যাপলের ঘোষণার পরই আমি আইফোন ১৩ থেকে আইফোন ১৪ তে আপগ্রেড করলাম।
বিজ্ঞাপন
স্টিভ জবসের চার সন্তান। লওরিন পোওয়েলের সঙ্গে স্টিভের বড় মেয়ের নাম ইভ জবস। সম্প্রতি তিনি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। সায়েন্স, টেকনোলজি এবং সোস্যাইটি নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। একাডেমিকের পাশাপাশি তিনি একজন মডেল এবং দক্ষ অশ্বারোহী।
হর্স রাইডিংয়ের প্রতি ইভ জবসের তীব্র ঝোঁক। এই খেলার সর্বোচ্চ স্তরে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অলিম্পিক্স এবং ওয়ার্ল্ড ইকুয়েস্ট্রিয়ান গেমসের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করারও স্বপ্ন রয়েছে তার। মডেলিংয়ের কর্মজীবনও রয়েছে তার। সে জগতেও নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরার জন্য কঠিন কসরত করে চলেছেন স্টিভ জবস কন্যা ইভ জোবস।
এজেড
