বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

পৃথিবীর ‘জমজ গ্রহ’ শুক্র বসবাসের যোগ্য ছিল!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

পৃথিবীর ‘জমজ গ্রহ’ শুক্র বসবাসের যোগ্য ছিল!

পৃথিবীর জমজ গ্রহ শুক্রের এখনকার তাপমাত্রা ৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় সীসা গলে যায়। তবে এক সময় এই গ্রহের তাপমাত্রা কম ছিল। তখন এই গ্রহ মানুষের বসবাসের যোগ্য ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন 'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের একদক গবেষক। 

কখনও, কোনও অদূর বা সুদূর অতীতে শুক্রও কি বসবাসের যোগ্য ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন 'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের একদল গবেষকরা।


বিজ্ঞাপন


তাদের সেই গবেষণাপত্র 'দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হতেই নতুন শোরগোল বিজ্ঞানীমহলে। তবে কি 'পৃথিবীর যমজ' গ্রহের অতীত সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানা যাবে? কারণ এমন হলে আমাদের গ্রহ নিয়েও বহু কিছু জানা-বোঝা সম্ভব। পূর্বাভাস দেওয়া যাবে জলবায়ু বদলের মতো বিষয় নিয়েও।

planetসালফিউরিক অ্য়াসিডের মেঘে ঢাকা শুক্রে পানির হদিস পাননি বিজ্ঞানীরা। এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় সীসা গলে যায়। তবে এই শুক্রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মিল রয়েছে এই এক্সোপ্ল্যানেটগুলো থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ যে তথ্য জোগাড় হবে তা থেকে বিজ্ঞানীরা এটি বোঝার চেষ্টা করতে পারবেন যে অতীতে কখনও এই গ্রহের পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল কিনা। 

কোলবি অসটবার্গ নামে ওই গবেষকদলের প্রধান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাদের অনেকেই মনে করেন অতীতে শুক্রও বসবাসের যোগ্য ছিল। 

সেই ধারণা সত্যি কিনা বুঝতেই 'ভেনাস জোনে’র তুলনামূলক ভাবে শীতল গ্রহগুলোর দিকে নজর রাখেন তারা। অবশ্যই শুক্রের সঙ্গে তাদের বিশেষ কিছু মিলের ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হয় এক্সোপ্ল্যানেটগুলোকে। তবে সে জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ আগামী বছরই এই এক্সোপ্ল্যানেটগুলোতে নজর রাখতে পারবে। 


বিজ্ঞাপন


বিশেষজ্ঞদের আশা, এই এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর বিভিন্ন 'বায়োসিগনেচার গ্যাস' নিয়ে তথ্য জোগাতে পারবেন এই টেলিস্কোপ। সেখান থেকেই বোঝা যাবে, শুক্রে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর