শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৬ এএম

শেয়ার করুন:

তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রয়েছে নারীর শক্তিশালী অংশগ্রহণ। নেতৃস্থানীয় পর্যায়গুলোতেও জায়গা করে নিচ্ছে নারীরা। এ খাতে তাদের অংশগ্রহণ অন্য যেকোন সময়ে তুলনায় বেশি। আর এই অর্জনের পেছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাগ্র ইচ্ছা এবং একযুগ আগে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একজন নারী ও একজন পুরুষকে নিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনের উদ্যোগ। তবে এখানেই থেকে থাকা নয় আরো এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের দক্ষতায় ব্যবহার করে কাজে লাগাতে হবে প্রযুক্তি খাতের প্রতিটি সুযোগ।

৬ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি  হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন  ও বাংলাদেশ উইম্যান ইন টেকনোলজির (বিডাব্লিউআইটি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি ব্রায়ান সিলার, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ,আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।

আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেল্পমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্ণা রায়কে এবং জৈষ্ঠ সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা। 

নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলার সঞ্চালনায় দুইপর্বের এই আয়োজনের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল । 

নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ হতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত সভাপতি রেজওয়ানা খান। 


বিজ্ঞাপন


bwitতিনি বলেন, আমরা এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানটি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কিংবদন্তি লুনা শামসুদ্দোহাকে উৎসর্গ করেছি যিনি একজন বাংলাদেশি টেক উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০১০ সালে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি)। প্রযুক্তিতে মেয়েদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে,তাদের ক্ষমতায়ন এবং এগিয়ে যেতে পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করেছেন শেষ দিন পর্যন্ত। আমরা তার উত্তরাধিকারী হতে পেরে  ভাগ্যবান এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের স্তরের সেরা করার চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন,  প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে সমতার সঙ্গে অংশগ্রহণের চেষ্টা শুরু করতে হবে বাল্যকাল থেকেই। উৎসাহিত করতে হবে প্রযুক্তি উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনকে।

দ্বিতীয় পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন নব নির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি রুমেসা হোসেইন।

এই পর্বের আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে আজকের এই অর্জনের যাত্রা শুরু হয় ১২ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একজন নারী ও একজন পুরুষকে নিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে।

সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি খাতে নারী-পুরুষ অনুপাত সমান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
 
তিনি আরো বলেন  আইসিটি বিভাগ সব সময় নারীবান্ধব এবং তথ্যপ্রযুক্তিতি নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সরকার বর্তমানে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের  মাধ্যমে ৩৫ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হচ্ছে। 

এছাড়াও পাঠ্যক্রম থেকে বৈষম্যমূলক চিন্তা দূর করতে গার্হস্থ্য শিক্ষার মতো পাঠ উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় মেয়েদের চিকিৎসক ছাড়া আন্যান্য পেশায় অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান নওফেল। 

একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোকে নারীদের সহজ ঋণদেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি ব্রায়ান সিলার বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ ইতিবাচক এবং আমেরিকাতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে। সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কাজে বিডাব্লিউআইটিকে আমরা সহায়তা দেবো।

বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, আমাদের মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগী এবং প্রতিশ্রুতিশীল। নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তারা নিজের জায়গা নিজেরাই তৈরি করে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য গর্বের। তাদের এগিয়ে চলায় যেকোন সহায়তা প্রদানে আমরা ইতিবাচক।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমরি জুবেরী হিমিকা  এবং বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেল্পমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্ণা রায়। 

অনুষ্ঠানে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচছা বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সিহাব উদ্দিন শিপন, বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ । 

অনন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত কমিটির সহ সভাপতি (একাডেমি) ড.নোভা আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ড. সেলিনা শারমিন,অর্থ সম্পাদক নাসমুস সালেহীন, পরিচালক নাজনীন নাহার, কানিজ ফাতিমা,রিম শামছুদ্দোহা, ফাতেমা আকতার এবং ড. ফারনাজ নারিন নুর প্রমূখ।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর