বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কর্মক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে চ্যাটজিপিটি

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

কর্মক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে চ্যাটজিপিটি

চ্যাটজিপিটি ক্রমেই বেশ কার্যকর হয়ে ওঠেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই চ্যাটবট ইতিমধ্যে বই লেখা, কোডিংয়ের সমাধান করা, কপিরাইটিং, বিষয়বস্তু তৈরি, গ্রাহক সহায়তাসহ বিভিন্ন কাজ করছে বেশ অল্প সময়ে। ফলে কয়েকজন মানুষের কাজ একাই করতে সক্ষম হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। যদিও এর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও চ্যাটজিপিটির উপর ভরসা করতে শুরু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এতে খরচ যেমন কমছে তেমন উন্নত প্রযুক্তি কাজকে সহজ করে দিচ্ছে বলে মনে করেন তারা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কর্মীর পরিবর্তে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফরচুন।

ChatGPTকর্মীর পরিবর্তে চ্যাটজিপিটি নিলে কী সুবিধা?


বিজ্ঞাপন


চ্যাটজিপিটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের থেকেও উন্নত প্রযুক্তি বলে এই চ্যাটবটে ভরসা রাখছে কোম্পানিগুলো। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নেবে চ্যাটজিপিটি। ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করছে। ফলে কোম্পানির খরচ কমে যাচ্ছে বহুগুণে।

ফরচুনের প্রতিবেদনে বলছে, যেসব কোম্পানি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে তাদের মতে খরচ কমাতে এটি ভাল কাজ করেছে। এই চ্যাটবটের মাধ্যমে ৪৮ শতাংশ বা প্রায় ৫০ হাজার ডলার সাশ্রয় করেছে কোম্পানিগুলো। চাকরির প্ল্যাটফর্ম রিজিউমবিল্ডার ডট কম ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটি জরিপ করে। যেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মোট এক হাজার কর্ণধার অংশগ্রহণ করেন।

জরিপ থেকে জানা যায়, এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক কোম্পানি চ্যাটজিপিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। অনেক কোম্পানি কর্মীদের পরিবর্তে চ্যাটজিপিটি নিয়ে এসেছে।

ChatGPTকী কাজ করছে চ্যাটজিপিটি?


বিজ্ঞাপন


চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী প্রায় ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, এখন চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে চাকরির সিভি লেখা হচ্ছে। ৬৬ শতাংশ বলেছে, এটি সাক্ষাৎকারের অভিবাদনের খসড়া তৈরি করছে। ফলে তাদের খরচ কমছে।

রিজিউমবিল্ডার বলছে যে, চাকরিপ্রার্থীরা সিভি ও কভার লেটার লিখতে এখন চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। 

সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি নিয়ে ভারতের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টিসিএস জানায়, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই এর কারণে মানুষ চাকরি হারাবে না, বরং এটি সহকর্মী হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তবে এটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন করবে না।

এমএইচটি/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর