ঘুম থেকে ওঠেই স্মার্টফোন হাতে নিয়ে দিন শুরু করেন অধিকাংশ মানুষ। আবার রাতে মোবাইল দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে পড়েন। সারাদিনে বিভিন্ন প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় এই মোবাইল। মোবাইলের এই অতিরিক্ত ব্যবহারের পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে। এর প্রভাব যেমন চোখের উপর পড়ে, তেমনি পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যেও। এমনকি হারিয়ে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তিও। তাই অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি মানতে হবে বেশকিছু নিয়ম, যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নিই মোবাইলের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে কার্যকরী উপায়গুলো।
ডার্ক মোড ব্যবহার করুন
বিজ্ঞাপন
চোখের ভালোর জন্য মোবাইলের ডার্ক মোড ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে সকল মোবাইলেই ডার্ক মোড অপশনটি রয়েছে। এটি নীল রশ্মির প্রভাব অনেক কমিয়ে দেয়। এর ফলে চোখের উপর চাপ অনেক কমে যায়।
স্ক্রিন উজ্জ্বলতা ঠিক করুন
মোবাইলের খুব বেশি বা খুব কম উজ্জ্বলতা চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই মোবাইলের উজ্জ্বলতা অটোমেটিক করে দিন। তাহলে আশপাশের আলোর সঙ্গে ভারসাম্য করে উজ্জ্বলতা নির্ধারিত হবে।
কিছু সময় পরপর চোখের পাতা বন্ধ করুন
বিজ্ঞাপন
টানা মোবাইল ব্যবহার করার সময় কিছু সময় পরপর চোখের পাতা বন্ধ রাখুন। প্রতি ৩০ মিনিটি কমপক্ষে ২০ বার চোখের পাতা ফেলার চেষ্টা করুন।
ডিজিটাল ওয়েলবিং ফিচারটি ব্যবহার করুন
বর্তমানে প্রায় সকল মোবাইলেই ডিজিটাল ওয়েলবিং ফিচার আছে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে স্ক্রিন টাইম অনেকটাই কমানো সম্ভব। এই ফিচার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার মাঝখানে বিরতির কাজ করবে।
লেখা আকারে বড় হবে
মোবাইলের স্ক্রিন তুলনামূলক ছোট। ফলে সেই স্ক্রিনে লেখাও যদি ছোট হয়, তাহলে চোখের উপর এটি বেশ চাপ তৈরি করে। তাই লেখার আকার বড় রাখুন। মোবাইলের সেটিংস অপশন থেকে সুবিধা মত লেখার আকার নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে মোবাইলের মেসেজ পড়তে এবং অন্য কাজেও সুবিধা হবে।
স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন
মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে চোখের উপর কম চাপ পড়ে। একটি পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে স্ক্রিন পরিষ্কার করতে পারেন। তবে পানি বা সাবান ব্যবহার করবেন না।
২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চলুন
প্রতি ২০ মিনিট পরপর স্ক্রিন ছেড়ে চোখ সরাতে হবে অন্তত ২০ ফুট দূরে থাকা কোনও জিনিসের দিকে। আর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সেই জিনিসটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এই নিয়মকে ২০-২০-২০ নিয়ম বলে।
এই নিয়মগুলো ঠিকমত মেনে চললে চোখের উপর ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমে যাবে অনেকটাই। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এমএইচটি

