শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

চ্যাটজিপিটি কতটা নিরাপদ?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৬ এএম

শেয়ার করুন:

চ্যাটজিপিটি কতটা নিরাপদ?

তরুণদের মধ্যে চ্যাটজিপিটি নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গতবছরের নভেম্বরে ওপেনএআই’র ডেভেলপকৃত এই চ্যাটবট পরিষেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু সার্ভিসের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

চ্যাটজিপিটর তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে এর নিরাপত্তা ফ্যাক্টর নিয়ে। চ্যাটবট সার্ভিস তো আগেও ছিল। তবে চ্যাটজিপিটির প্রধান ইউএসপি ছিল যেকোনও জটিল থেকে জটিলতর সমস্যাকে মানুষের মতো করে সমাধান করার চেষ্টা। তার জন্য একটি বিশেষ কনভারসেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ব্যবহার করেছে ওপেনএআই।


বিজ্ঞাপন


chagptজটিল কোড হোক বা বীজগণিতের অঙ্ক, হোক না কোনও লজিক্যাল সওয়াল, সব প্রশ্নের হাল নিয়ে হাজির চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞমহল। এমন একটি মুশকিল আসান হাতের কাছে বিনামূল্যে পেয়ে পড়াশোনায় মন দেবে না স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা। বাড়বে প্ল্যাগারিজম।  ইতিমধ্যেই চুরি দেখতে একটি এআই টুলও ডিজাইন করেছে ওপেন এআই।

চ্যাটজিপিটি নিয়ে যখন সারা পৃথিবীতে চলছে হৈচৈ তখন এর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মীরা মূর্তি। যিনি চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই’র সিটিও।

চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে ওঠা রিস্ক ফ্যাক্টর নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন মীরা। তিনিও মেনে নিয়েছেন, যে খারাপ হাতে পড়লে এর অপব্যবহার হতেই পারে। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মীরা জানান, কীভাবে মানবিক বিচক্ষণতার সঙ্গে কীভাবে বিশ্বব্যাপী এই এআই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তার উপরেই অনেকটা নির্ভর করছে ঝুঁকির বিষয়টি। পাশাপাশি এই এআই পরিষেবাটিকে আরও উন্নততর করতে আরও অনেক ইনপুট দরকার, যা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। আর তা মানুষের সাহায্য না পেলে সম্ভব নয়।

chatgptপাশাপাশি এই এআইর অপব্যবহার রুখতে উদ্যোগী হতে হবে সরকার ও নাগরিকদেরকেই। সরকারি হস্তক্ষেপ প্রযুক্তির কাজে কোনও ভাবে বাধা হয়ে উঠতে পারে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মীরা জানান, এখনও খুব প্রাথমিক স্তরে রয়েছে চ্যাটবট পরিষেবাটিকে। তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপাতত সব পক্ষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলেই মনে করছেন মীরা।


বিজ্ঞাপন


সব মিলিয়ে প্রযুক্তির শেষ কথা শেষপর্যন্ত মানুষই। আর সেই মানুষের উপরেই ভরসা রাখতে চেয়েছেন মীরাও। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তিকে যেমন মানুষ তৈরি করে, তেমনি ভাবেই আমাদের বা আমাদের সমাজকেও অনেকটা আকার নিতে সাহায্য করে প্রযুক্তি। এই চলাচলটা উভয় পক্ষেরই। 

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর