ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘যন্ত্র কখনোই মানব সভ্যতার নিয়ন্ত্রক হতে পারে না। আমরা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলছি। আমাদের একটি মানবিক সভ্যতা গড়ে তোলার বিকল্প নেই, আমরা বিপ্লব চাই। তার মানে হচ্ছে অতীতকে ভেঙে দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা। আমাদের প্রযুক্তির শেষ উদ্ভাবনে যেতে হবে এবং প্রযুক্তির ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার দ্বিতীয় দিনে ‘পঞ্চম শিল্প বিপ্লব ও ফাইভ-জি অবকাঠামো: বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
সভায় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যান্ত্রিক। মানুষ ও যন্ত্রের মিশেলে দরকার মানবিক শিল্প বিপ্লবের। ২০১৯ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে উত্থাপিত জাপানের সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব ধারণাটি বিশ্ববাসী গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবী আজ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফাইভ-জি অথবা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য যে প্রযুক্তি চাইব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তা পড়াতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দক্ষতা দিতে না পারলে আমরা অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সফল হব না।’
এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। এতে অন্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল আলম, বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুজ্জামান জুয়েল, হুয়াওয়ের চিফ ট্যাকনিক্যাল অফিসার নিকি মা জিয়ান, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির প্রতিনিধি শাহেদ আলম ছাড়াও ফাইভার এট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
টিএই/আইএইচ
