শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

স্মার্ট জেলা গড়তে  ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শুরু

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৬ এএম

শেয়ার করুন:

স্মার্ট জেলা গড়তে  ‘স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শুরু

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্মার্ট জেলা গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসকদের জন্য স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। 

ঢাকায় আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার ঘোষণা করেন।


বিজ্ঞাপন


বিজয়ী এক বা একাধিক জেলা প্রশাসক স্মার্ট জেলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ১ কোটি টাকা সিড ফান্ড পাবেন। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র জেলা প্রশাসকগণ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্মার্ট জেলা গঠনে নাগরিকগণ সম্পৃক্ত হতে চাইলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।  

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলজেন্স, বিগ ডাটা এনালাইটিক্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, সেবা খাত, প্রশাসন, ইউটিলিটিসহ নাগরিকবান্ধব সেবা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকগণের কাছ থেকে উদ্ভাবনী আইডিয়া জমাদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

জনবান্ধব ও উন্নত সেবার মাধ্যমে জেলার আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা তৈরিতে জেলা প্রশাসকগণ নিজেদের উদ্ভাবনী আইডিয়া এটুআই-এর চ্যালেঞ্জ ফান্ড ওয়েবসাইটে (challenge.gov.bd) জমা দিতে পারবেন। আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৫ এপ্রিল ২০২৩। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন না করলে করোনাকালীন সময়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা-বাণিজ্য-বিচার ব্যবস্থা চলমান রাখতে পারতাম না। 


বিজ্ঞাপন


প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট জেলা প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পনা গ্রহণের অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

ictপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প ও দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি, যার মূল স্তম্ভ চারটি-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। আমাদের সকল পেশার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী মানষিকতা তৈরি করে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে দুনীর্তিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকারের সকল কার্যক্রমে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরি করতে হবে। স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ সকল কার্যক্রম নিয়ে আমরা একটি স্মার্ট সোসাইটি গঠন করবো।

জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে গঠিত আইসিটি কমিটির সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সংযুক্ত করে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়নে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ প্রতিমন্ত্রী।  
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ এবং সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর