সিম কার্ড যেনো ফোনের প্রাণ। সিম কার্ড ছোট্ট একটি মাইক্রো চিপ থাকে। যা দেখতে সোনালি রঙের। এই চিপে অল্প পরিমান সোনা ব্যবহৃত হয়। সিম কার্ড নষ্ট হয়ে গেলে এর মধ্যে থাকা সোনা ব্যবহার করার উপায় থাকে না। কেননা, সিম কার্ড আলাদা করার কোনও রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া নেই। তাই, তা ই-বর্জ্য হিসেবে পরিনত হয়।
ডিজিটাল ট্রেন্ডসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিম কার্ড থেকে সোনা বের করার কাজটি খুবই খরচসাপেক্ষ। তাই, এতদিন ধরে সেই খরচের জন্যই সিম কার্ড থেকে সোনা বের করা হত না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কীভাবে সিম কার্ড থেকে সোনা বের করা যায়, তা সবসময়ই বিজ্ঞানীদের ভাবনাচিন্তার স্তরে ছিল। এবার সেই ভাবনাচিন্তা থেকেই ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা সিম কার্ড রিসাইক্লিংয়ের নতুন পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা থেকে সহজেই সোনা বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সিম কার্ডে সোনার স্তর মাউন্ট করা হয়, যা বিদ্যুৎের চমৎকার পরিবাহী। পাশাপাশি এটি রূপো বা অন্যান্য ধাতুর মতো দ্রুত খারাপও হয় না।
সিম কার্ডে সোনার পরিমাণ খুবই কম। আপনি যদি হাজার-হাজার সিম কার্ড সংগ্রহ করে সেগুলো থেকে সোনা বের করেন, তাহলে সেগুলো থেকে মাত্র কয়েক গ্রামই পাবেন। তাই, এত ভাবনাচিন্তা করার পর একটা সিম কার্ড থেকে এক রত্তিরও কম সোনা বের করেই বা কী লাভ, প্রশ্ন উঠেছিল তা নিয়েও।
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যাগলিয়ারির দুই গবেষক অ্যাঞ্জেলা সার্পে এবং পাওলা ডেপ্লানো সিম কার্ড থেকে সোনা বের করার একটি সহজ উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
সিম কার্ড থেকে যে পরিমাণ সোনা বের হবে, তা কোনও কাজে লাগবে না, পুনর্ব্যবহারও করা যাবে না। বরং, বাতিল এবং খারাপ হয়ে যাওয়া সিম কার্ডগুলো ই-বর্জ্য হিসেবেই ফেলে দেওয়া হবে। তবে ঠিকঠাক ভাবে সিম কার্ড রিসাইকেল করা গেলে, তা থেকে বিভিন্ন মেডিক্যাল ডিভাইস তৈরি করা যেতে পারে। যার ফলে মেডিক্যাল ডিভাইসের দাম কমবে। শুধু তাই নয়। তা থেকে ওষুধও তৈরি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
বিজ্ঞাপন
এজেড