সাশ্রয়ী দামে স্মার্টফোন কিনতে চাইলে আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে নকিয়া জি১১ প্লাস। সস্তার এই ফোনে চোখ কপালে তোলার মতো ফিচার না থাকলেও ব্যাটারি ব্যাকআপের নিরিখে প্রতিযোগীদের টেক্কা দিতে পারবে এই ফোন।
নকিয়া জি১১ প্লাসের পেছনের ক্যামেরা মডিউল ডিজাইন কোম্পানির অন্যান্য ফোনের মতোই। ফোনের পেছনে রয়েছে নকিয়া ব্র্যান্ডিং। ফোনের পেছনে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ডান দিকে রয়েছে ভলিউম ও পাওয়ার বাটন। এছাড়াও রয়েছে সিম ট্রে। ফোনের উপরে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক। এই ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিজ্ঞাপন
হ্যান্ডসেটটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লেতে পাবেন ২০:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও ও হার্জ রিফ্রেশ রেট।
পারফরম্যান্স ও মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য এই ফোনে রয়েছে ইউনিসক টি৬০৬ চিপসেট ও ৪ জিবি র্যাম। সঙ্গে রয়েছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ। যদিও মাইক্রো কার্ডের মাধ্যমে এই ফোনে অতিরিক্ত ৫১২ জিবি স্টোরেজ ব্যবহার করা যাবে।
আপনি যদি ফিচার ফোন থেকে আপগ্রেড করে একটি বেসিক স্মার্টফোন কিনতে চান তবে আপনার জন্য আদর্শ এই ফোন। এই ফোনে খুব বেশি মাল্টিটাস্কিং করা যাবে না। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ও সাধারণ কাজের জন্য ফোন খুঁজলে এই ফোন কিনতে পারেন।
নকিয়া জি১১ প্লাস মডেলটি অ্যানড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেম। তবে এই ফোনে কোনও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকছে না। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের সঙ্গে এই ফোনে ১৮০ হার্জ টাচ স্যামপ্লিং রেট পাবেন। তবে এই ফোনে ভারি গেম না খেলাই ভালো।
বিজ্ঞাপন
ডিভাইসটির পেছনে রয়েছে দুইটি ক্যামেরা। প্রাইমারি ক্যামেরায় পাবেন ৫০ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। সঙ্গে রয়েছে একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেপ্ত সেন্সর। দিনের আলোতে এই ফোনে ভালোই ছবি উঠবে। যদিও ছবিতে ডিটেলিং অথবা শার্পসেন পাবেন না। এছাড়াও চাইলে এনেবেল করা যাবে পোট্রেট মোড। এছাড়াও ক্যামেরায় রয়েছে প্যানোরমা, টাইম ল্যাপস মোড। পোট্রেট মোডে ভালো ছবি তুলতে পারবেন। তবে এই ফোনের নাইট মোড আপনাকে হতাশ করবে। কল আলোতে ঝাপসা ছবি উঠবে। দিনের আলোতে ভালো সেলফি তুলবে এই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
এই ফোনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ব্যাটারি। ফোনের ভিতরে রয়েছে ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। কোম্পানির দাবি এক চার্জে ৩ দিন চলবে এই ফোন। সঙ্গে রয়েছে ১০ ওয়াট আওয়ারের চার্জিং সাপোর্ট।
১৫ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন নকিয়া জি১১ প্লাস মডেল।
এজেড
