শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মহাজাগতিক বিস্ময়: ব্ল্যাকহোলে আলোর ‘প্রতিধ্বনি’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

মহাজাগতিক বিস্ময়: ব্ল্যাকহোলে আলোর ‘প্রতিধ্বনি’

ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকে ঠিকরে বের হচ্ছে আলো। এ যেনো আলোর প্রতিফলন। আলোর প্রতিধ্বনি বললেও ভুল হয় না। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রকাশিত এক ভিডিওতে এই মহাজাগতিক এই দৃশ্য দেখা গেছে। ভিডিওটি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে নাসা। 
 
নাসার মতে ভিডিওতে থাকা ব্ল্যাক হোলটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৭৮০০ আলোকবর্ষ দূরে এবং এর ভর সূর্যের থেকে পাঁচ থেকে ১০ গুণ।

নাসা ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর রেখা দেখতে পেয়েছে। স্টেস এজেন্সি ভিডিওটি শেয়ার করেছে ইনস্টাগ্রামে।


বিজ্ঞাপন


spaceব্ল্যাকহোল কখনও আলোক বিচ্ছুরণ করতে দেয় না। ব্ল্যাকহোল থেকে কখনও রেডিও বা এক্স-রে কোনও কিছু দৃশ্যমান হয় না। আশপাশের উপাদানগুলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিচ্ছুরণের ফলে তীব্র বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে। আর তা বাইরের দিকে যাওয়ার সময় আলোর এই বিচ্ছুরণ মেঘগুলোকে উড়িয়ে দিতেও সক্ষম। তা মহাকাশে গ্যাস এবং ধুলা সরিয়ে দেয়, ঠিক যেমন গাড়ির হেডলাইট থেকে আলোর রশ্নি কুয়াশাকে সরিয়ে দেয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায় লাল বৃত্তাকার ব্যান্ডগুলো একটি তারার পটভূমি দ্বারা বেষ্টিত। নীল ব্যান্ডগুলো ব্ল্যাকহোল সিস্টেমের ভিতরের এবং নিচের অংশগুলিকে হাইলাইট করে। 

সেনিফিকেশনের সময় কার্সারটি একটি বৃত্তে চিত্রের কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে সরে যায়। যখন এটি এক্স-রে'তে শনাক্ত করা আলোর প্রতিধ্বনির মধ্য দিয়ে সেখানে এক্স-রে শনাক্তকরণ ও উজ্জ্বলতার তারতম্য বোঝানো হয়েছে ওই ছবিতে। 

নাসার মতে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক হোলটি একটি সহচর নক্ষত্র থেকে উপাদান টেনে নিচ্ছে, যা একটি চাকতির মতো আটকে রয়েছে। আর ব্ল্যাকহোলটি ঘিরে রেখেছে একটি নাক্ষত্রিক ভর। 


বিজ্ঞাপন


spaceমহাকাশ গবেষকদের মতে, ভি৪০৪ সিগনি হল একটি সিস্টেম যা, একটি ব্ল্যাকহোল ধারণ করে রাখে। একটি নতুন সোনিফিকেশন ভি৪০৪ সিগনি ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ আলোর অস্তিত্ব শব্দে পরিণত হয়ে যায়। 

নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজার্ভেটরি এবং নীল গেহরেলস সুইফট অবজার্ভেটরি ভি৪০৪ সিগনির চারপাশে এক্স-রে আলোর প্রতিধ্বনি চিত্রায়িত করেছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই চিত্র থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, কখন এই অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। কারণ তারা জানেন যে, আলো কত দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে এবং এই সিস্টেমের একটি সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করতে পারে। এই ডেটা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধূলিকণার মেঘের গঠন ও দূরত্ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতেও পারেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর