গতকাল ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ববাসী দেখল বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। গতকালকের গ্রহণ ছিল এই বছরের দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণ।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। দেড় বছর পর আবার এই বিরল মহাজাগতিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে পৃথিবী। যেখানে সূর্য, চাঁদ আর পৃথিবী আসবে একই সরলরেখায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞানীরা জানান, গ্রহণ আসলে মহাবিশ্বের আলো-ছায়ার কারসাজি। সূর্য আর চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী হাজির হলে পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ সাময়িক ভাবে ঢাকা পড়ে। তাকেই বলে চন্দ্রগ্রহণ। একই ভাবে পৃথিবী আর সূর্যের মাঝখানে চাঁদ এসে গেলে তার ছায়া সূর্যকে সাময়িক ভাবে ঢেকে দেয়। তাকে বলা হয় সূর্যগ্রহণ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে পূর্ণ গ্রহণ শুরু হয়। গতিপথ ছিল যুক্তরাজ্যের হাওয়াই দ্বীপের ওশান ভিউ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হয় বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। পূর্ণগ্রহণ থেকে চাঁদের নির্গমন হয় ৫টা ৪২ মিনিটে।
চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। তাদের সবার চোখ যেনো চাঁদে স্থির ছিল। ইতিমধ্যে নেট মাধ্যমে বর্ণিল চাঁদের গ্রহণের ছবি ছড়িয়ে গেছে।
গতকালকের চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের মদ্যে লালচে আভা দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
কেন গ্রহণ লাগা চাঁদের রং লাল হয় তার ব্যাখ্যা দিয়ে নাসা জানিয়েছে, প্রথমত পৃথিবীর ছায়া ‘আমব্রা’ চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে।
নাসা আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়।
নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলে থাকা ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়েই ওই রঙ চোখে পড়ে পৃথিবীবাসীর।
এজেড