প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে একচেটিয়া বাজার দখলের অভিযোগে গুগলকে বড় অংকের জরিমানা করল ভারতের জাতীয় প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিসিআই)। মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট টেক কোম্পানিটিকে ১৬.২ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
সিসিআইর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই জরিমানার কারণ জানিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ভারত সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও জরিমানার খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সিসিআই জানিয়েছে, অ্যানড্রয়েড মোবাইল ডিভাইস ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন বাজারে শীর্ষে থাকার সুযোগ নেওয়ার কারণে গুগলকে ১৬.২ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
দেশটির প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে গুগল শুধুমাত্র অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম তৈরি ও পরিচালনাই করে না, সব কিছুর দেখভালের দায়িত্বেও রয়েছে। নিজেদের মালিকানায় থাকা অন্যান্য অ্যাপের লাইসেন্সও দেয় গুগল নিজেই। তাই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো ফোনে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চাইলে এক প্রকার গুগলের বিভিন্ন অ্যাপ ও সার্ভিস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। এই জন্য স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুগলের সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয়। ফলে বিভিন্ন ফোনে প্রথম থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজার, গুগল সার্চ ইঞ্জিন আগে থেকেই ইনস্টল থাকে। যা প্রতিযোগীদের থেকে গুগলকে এগিয়ে দেয়।
সিসিআই আরও জানিয়েছে অ্যানড্রয়েড ফোনগুলোতে প্রথম থেকে ইনস্টল থাকে ইউটিউব। এই অ্যাপ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে গুগল। ফলে অন্যান্য ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করার ফলেই প্রতিযোগীদের বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে গুগল। এই প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ লাভবান হয় মার্কিন সংস্থাটি।
বিজ্ঞাপন
সিসিআই জানিয়েছে, নতুন ফোন সেট আপ করার সময় সার্চ ইঞ্জিন পছন্দের অপশন দিতে হবে গ্রাহককে। এছাড়াও সাইড লোডিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপ ইনস্টল থেকে ডেভেলপারদের বাধা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
প্লে স্টোরের বাইর থেকেও অ্যাপ ইনস্টলের ব্যবস্থা রাখতে হবে গুগলকে। সুরক্ষার দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাপ সাইড লোডিং করতে মানা করে আসছে গুগল।
প্রয়োজনীয় আর্থিক বিবরণ এবং সহায়ক নথি সরবরাহ করার জন্য গুগলকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে সিসিআিই। যদিও শেষ পর্যন্ত জরিমানা আরও বাড়তে পারে।
এজেড
