এখনকার ডিজিটাল দুনিয়ায় সাইবার অপরাধ দ্রুত বাড়ছে। ডার্ক ওয়েবের বিস্তার, উন্নত হ্যাকিং প্রযুক্তি এবং সূক্ষ্ম ম্যালওয়্যারের কারণে ব্যক্তিগত ডিভাইস এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিতে। অ্যান্টিভাইরাস সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না যে তাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবে কিছু ছোট্ট লক্ষণ খেয়াল করলেই হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ধারণা পাওয়া সম্ভব।
ইন্টারনেট ডেটা হঠাৎ বেশি খরচ হওয়া
বিজ্ঞাপন
প্রথমেই খেয়াল করতে হবে ডেটা ব্যবহারে হঠাৎ বৃদ্ধি হয়েছে কি না। আপনি স্বাভাবিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহার না করলেও যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে এটি ম্যালওয়্যার সক্রিয় থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত। এ ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুপিসারে সংগ্রহ করে অপরিচিত সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়।
কম্পিউটার অস্বাভাবিকভাবে ধীর হয়ে যাওয়া
হ্যাক হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর একটি হলো সিস্টেমের গতি কমে যাওয়া। সাধারণ কোনো অ্যাপ খুলতে বেশি সময় লাগা, ওয়েবপেজ লোডিং ধীর হওয়া—এসবই দেখায় যে ম্যালওয়্যার আপনার কম্পিউটারের রিসোর্স দখল করে নিয়েছে। এতে শুধু কাজের গতি কমে না, হার্ডওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গুগল ইয়ান ইন সার্চ ২০২৫: এআই’র সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন্ডগুলো
বিজ্ঞাপন
অ্যান্টিভাইরাস হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া
অ্যান্টিভাইরাস নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়া বা হঠাৎ অকার্যকর হয়ে যাওয়া একটি গুরুতর সতর্ক সংকেত। সাইবার অপরাধীরা সাধারণত হ্যাকিংয়ের পর প্রথমেই সিকিউরিটি সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যাতে তাদের উপস্থিতি ধরা না পড়ে। তাই এ ধরনের ঘটনা দেখে দেরি না করে সিস্টেম পরীক্ষা করা জরুরি।

কম্পিউটার বারবার ফ্রিজ হওয়া বা অ্যাপ ক্র্যাশ করা
হ্যাকিংয়ের আরও একটি সাধারণ লক্ষণ হলো বারবার ফ্রিজ হওয়া বা অ্যাপ্লিকেশন ক্রমাগত ক্র্যাশ করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্পাইওয়্যার বা মুক্তিপণ দাবি করা সফটওয়্যার সংক্রমণের ফল হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এই ধরনের লক্ষণ দেখলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত—ডিভাইস স্ক্যান করা, অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা ও প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া। একটু সচেতনতা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ডিভাইসকে বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
এজেড

