ডিসেম্বরের আকাশ আবারও আলোকিত হতে চলেছে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জেমিনিডস উল্কাপাত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর রাতে সর্বোচ্চ তীব্রতায় দেখা যাবে। অন্ধকার আকাশে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১২০টি পর্যন্ত উল্কা ছুটে যেতে পারে। উল্কার উৎস গ্রহাণু ৩২০০ ফেইথন। এ সময় আকাশে বৃহস্পতি ও চাঁদ পাশাপাশি অবস্থান করবে, যা রাতের আকাশে আরও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করবে।
কেন শীতে উল্কাপাত বেশি দেখা যায়
বিজ্ঞাপন
শীতের রাত সাধারণত দীর্ঘ, স্বচ্ছ ও নির্মল থাকে। এই সময় পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে এমন কয়েকটি ধূলিকণা ও বরফকণার ভেতর দিয়ে যায়—যা মূলত ধূমকেতু বা গ্রহাণুর ভেঙে যাওয়া অংশ। এসব কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দ্রুতগতিতে প্রবেশ করলেই জ্বলে উঠে সৃষ্টি হয় উল্কাপাত।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পৃথিবী পরপর কয়েকটি ধূলিকণার পথে প্রবেশ করে, তাই শীতকালকে উল্কাবৃষ্টি দেখার সেরা মৌসুম বলা হয়।

কোথায় ও কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে
বিজ্ঞাপন
শহরের আলো দূষণ থেকে দূরে গ্রামাঞ্চল, উঁচু স্থান বা খোলা মাঠ হলো সবচেয়ে উপযোগী জায়গা
কোনো দূরবীন বা যন্ত্রের প্রয়োজন নেই—খালি চোখেই দেখা যাবে
চোখকে অন্ধকারে অভ্যস্ত হতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় দিন
আরও পড়ুন: উল্কাবৃষ্টি কেন হয়?
রাতের শীত ভাবনায় রেখে চাদর বা গরম কাপড় সঙ্গে রাখুন
শীতের নির্মল আকাশে জেমিনিডস উল্কাবৃষ্টি প্রতিবছরই এক জাদুকরী অভিজ্ঞতা এনে দেয়। তাই ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর রাতের আকাশে তাকাতে ভুলবেন না, হয়তো আপনার চোখের সামনে দিয়েই ছুটে যাবে শত শত উল্কা।
এজেড

