ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মেসেজিং এবং সোশ্যাল অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী সক্রিয় সিম ছাড়া কেউ WhatsApp বা Telegram ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে যারা আগে সিম ছাড়া বা পুরনো সিম দিয়ে অ্যাপ চালাতেন, তাদের জন্য নিয়মটি কঠোরভাবে প্রযোজ্য হবে।
সিম নিষ্ক্রিয় হলে যা ঘটবে
বিজ্ঞাপন
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে সিম নিষ্ক্রিয় বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে ছয় ঘণ্টা পর অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট হয়ে যাবে। সিম যদি বন্ধ থাকে, পোর্ট করা হয়, ব্লক করে দেওয়া হয় বা অন্যের নামে স্থানান্তর করা হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাবে। পুনরায় প্রবেশ করতে আবার ভেরিফিকেশন করতে হবে। যাচাই না হলে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে না।
কেন এই কঠোর নিয়ম
সরকার জানিয়েছে অনেক সাইবার অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ সিম বা চুরি হওয়া সিম দিয়ে WhatsApp এবং Telegram অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। প্রতারণা, সিম সোয়াপ জালিয়াতি এবং ভুয়া পরিচয়ের মতো অপরাধ রোধ করতেই রিয়েল টাইম সিম যাচাইকরণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো অ্যাপ কোম্পানিগুলোকে টেলিকম অপারেটরের মতো দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লুকিয়ে রাখুন এভাবে, কেউ খুঁজেও পাবে না
বিজ্ঞাপন
ব্যবহারকারীর ওপর সরাসরি প্রভাব
এই নিয়ম কার্যকর হলে যেই মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করবেন তার সঙ্গে যুক্ত সিম অবশ্যই সক্রিয় এবং নিজের নামে রেজিস্টার্ড থাকতে হবে। নতুন সিম নিলে বা নতুন ফোনে অ্যাপ খুললে আবার যাচাই করতে হবে। যারা গোপনীয়তার জন্য দ্বিতীয় সিমে WhatsApp বা Telegram ব্যবহার করতেন তাঁরা আর তা করতে পারবেন না। পুরনো নিষ্ক্রিয় নম্বর থাকলে ছয় ঘণ্টা পরে অ্যাপে আর লগইন করা যাবে না যাচাই ছাড়া।

অ্যাপ কোম্পানিগুলোর নতুন দায়িত্ব
টেলিকম আইডেন্টিফায়ার ইউজিং এন্টিটিজকে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করতে বলা হয়েছে যেখানে প্রতিটি ভেরিফিকেশন, নম্বর পরিবর্তন, সিম আপডেট এবং লগইনের রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি এই কোম্পানিগুলিকে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের অটো লগআউট ব্যবস্থা রিয়েল টাইমে কাজ করে এবং সিম নিষ্ক্রিয় থাকলে ছয় ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে।
কখন থেকে কার্যকর হবে
সরকার অ্যাপ কোম্পানিগুলোকে পুরো সিস্টেম বাস্তবায়নের জন্য ১২০ দিন সময় দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। নিয়ম না মানলে টেলিকম আইন ২০২৩ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এজেড

