অ্যাপল সাধারণত তাদের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত না থাকলেও বাজারে পুরোনো আইফোন মডেলগুলো উপলব্ধ রাখে। বহু বছর ধরেই আমরা দেখেছি, অফলাইনে আইফোন ১২ বা আইফোন ১৩ কেনা যায়, এবং এগুলোর দামেও ভালো মান পাওয়া যায়। মানুষ আসলে স্পেসিফিকেশন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। বাজেটের মধ্যে পড়লে তারা ফোনটি কিনে নেয়।
ক্রোমা তাদের আইফোন ১৬–এর অফার খুব গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে। সমস্ত ছাড় এবং অন্যান্য প্রস্তাব মিলিয়ে মডেলটির দাম হাতের নাগালে নিচে নেমে আসবে। এবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন
আমরা যেমন বলেছিলাম, মানুষ আইফোন কেনে মূলত ব্র্যান্ডের জন্য, অভিজ্ঞতার জন্য এবং এটি যে ‘মর্যাদা’র প্রতীক—সেটার জন্য। অনেকে জানেও না যে আইফোন কতটা গোপনীয়তাকেন্দ্রিক, তবুও তারা আইফোন কেনে কারণ তারা শুধু ‘একটা আইফোন’ চায়—এবং সেই জায়গায় কোনো অন্য ব্র্যান্ড এখনো টেক্কা দিতে পারেনি।

এখন বাজারে অ্যাপল তার বিখ্যাত আইফোন ১৭ সিরিজ উন্মোচন করেছে, বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে উন্মাদনা এখনও অটুট। তা বলে আগের প্রজন্মের মডেল ফেলনা নয়। খুব বেশি দিনের ব্যাপারও নয়—আইফোন ১৬ উন্মোচন করা হয়েছিল ২০২৪ সালে। এটিই প্রথম বেস মডেল যেখানে অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–ভিত্তিক সুবিধা এবং সিরির উন্নত এআই সমর্থন দেওয়া হয়েছিল।
আইফোন ১৭ প্রো–এর দামে বড় পতন!
বিজ্ঞাপন
অ্যামাজনের বিনিময়–অফারে ফোনটি কিনতে পারবেন মাত্র ৭০,১৫৫ রুপিতে।
অ্যাকসেসরির বাজারও আইফোনকে কেন্দ্র করে বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে—আপনি নানা ধরনের কেস, পপ সকেট, এমনকি ম্যাগসেফ চার্জিং ইউনিটও সহজে পেতে পারেন। চাহিদা বেশি হওয়ায় পুরোনো মডেলের কেস পাওয়া একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এই অ্যাকসেসরি–ইকোসিস্টেমই আরও বেশি মানুষকে আইফোন ব্যবহারে আকৃষ্ট করে এবং এই ‘হাইপ’ বুঝতে সাহায্য করে।

অ্যামাজনের এই বিনিময়–প্রস্তাব শুধু ব্যবহারকারীদের জন্য উপকারী নয়, বরং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকেও উৎসাহিত করে। একটি পুরোনো ফোনের বিনিময়ে একটি নতুন ডিভাইস নেওয়া পরিবেশের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: টিকটকে এআই কনটেন্টের জন্য নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
অ্যাপল তাদের মান ও ঝামেলাহীন সেবার জন্য বিখ্যাত। আইফোন ব্যবহারকারীরা বলবে, তাদের ডিভাইস নষ্ট হলে বা সেবার প্রয়োজন হলে পুরো অভিজ্ঞতাই অনেক সহজ ও সুন্দর। কোনো পণ্যের মান তার সেবা–নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে—এবং অ্যাপল এই জায়গায় নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
এজেড

