শীতের শুরুতে প্রায় সব বাড়িতেই গিজারের ব্যবহার বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানির পরিবর্তে দ্রুত গরম পানি পাওয়ার সুবিধা যেমন আছে, তেমনই ভুলভাবে ব্যবহার করলে গিজার ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হতে পারে। তাই নিরাপদ ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি।
বিজ্ঞাপন
গিজার চালু রেখে গোসল করবেন না
গিজার অন করার সঙ্গে সঙ্গে স্নান শুরু করা বিপজ্জনক।
এতে বৈদ্যুতিক শকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গিজার চালু করার পর পানিতে পর্যাপ্ত সময় ধরে গরম হতে দিন। যদি পানি গরম না হয়, তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এতে শকের ঝুঁকি কমে এবং আরামদায়ক গরম পানি পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন

ফিটিং ও তার পরীক্ষা করা জরুরি
গিজারের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে—
ফিটিং ঠিক আছে কি না
তারে কোনো সমস্যা আছে কি না
এসব পরীক্ষা করাতে হবে।
পুরনো গিজার বা ত্রুটিপূর্ণ তার থেকে শর্ট সার্কিট বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। পানিতে সামান্য ‘কারেন্ট লাগা’র অনুভূতি পেলেই গিজার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে পরীক্ষা করাতে হবে।

নিরাপদ ব্যবহারের আরও কিছু নিয়ম
গিজার অবশ্যই সঠিক সকেটে লাগাতে হবে।
স্যাঁতসেঁতে জায়গায় গিজার রাখা বা চালানো যাবে না।
সুইচ, প্লাগ, তার—সব কিছু ভালো অবস্থায় আছে কি না নিয়মিত দেখতে হবে।
শিশু ও বয়স্কদের গিজারের কাছে একা যেতে দেবেন না।
আরও পড়ুন: গিজারে পানি গরম হচ্ছে না—এসব সমস্যা হয়নি তো?
গিজার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে ঠিকই, কিন্তু ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে সামান্য অবহেলাই বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করুন, নিয়মিত ফিটিং ও তার পরীক্ষা করুন, নিরাপদে থাকুন।
এজেড

