বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক দফা ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভূমিকম্পের পরপর প্রতিবারই একটি প্রশ্ন সামনে আসে, তা হলো ‘ভূমিম্পের পূর্বাভাস কি আগে থেকে জানানো যায় না?’ বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন সত্ত্বেও এখনো পৃথিবীর কোথাও নির্ভুলভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।
১. ভূগর্ভের চাপ (Stress) পরিমাপ করা জটিল
বিজ্ঞাপন
ভূপৃষ্ঠের নিচে প্লেটের সংঘর্ষ, সরে যাওয়া বা জমে থাকা চাপ কখন মুক্ত হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে মাপার কোনো প্রযুক্তি এখনো নেই। এ চাপ এক বছরে মুক্ত হতে পারে, আবার ৫০ বছরেও নাও হতে পারে।
২. সংকেত নেই, আচরণ অনিশ্চিত
ঘূর্ণিঝড়ের মতো স্যাটেলাইট সংকেত বা আবহাওয়া তথ্য নেই। ভূমিকম্প হঠাৎ ঘটে, আগাম কোনো দৃশ্যমান বা প্রযুক্তিগত সতর্ক সংকেত দেয় না।
৩. ফল্ট লাইনের ভেতর প্রবেশ অসম্ভব
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশসহ অধিকাংশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশের ফল্ট লাইন গভীর মাটির নিচে। সেখানে যন্ত্র বসানো বা নিয়মিত চাপ পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
৪. বৈজ্ঞানিক সীমাবদ্ধতা
বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে কাজ করলেও এখনো এমন কোনো অ্যালগরিদম তৈরি হয়নি যা সময়, তারিখ, মাত্রা—সব কিছু নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে।

বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে কেন
তিনটি সক্রিয় ফল্ট লাইন ঘিরে আছে দেশটিকে। এগুলো হলো-
১. ডাউকি ফল্ট
২. শিলং প্লেট বাউন্ডারি
৩. মেঘালয়-আসাম ফল্ট জোন
ঢাকার ভবনগুলোর বড় অংশ অনিরাপদ
রাজধানীতে প্রায় ৭০% ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি
অল্প মাত্রার ভূমিকম্পেও আতঙ্ক ছড়ায়।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে করণীয়
ভবন নির্মাণে বিএনবিসি কোড কঠোরভাবে মানা
পুরোনো ভবনগুলো রেট্রোফিটিং
আরও পড়ুন: সমতল নাকি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিকম্প বেশি হয়?
স্কুল-অফিসে নিয়মিত ভূমিকম্প অনুশীলন
ঘরে ভারী জিনিস উপরে না রাখা
জরুরি সরঞ্জামাদি ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা।
এজেড

