স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি ডিভাইস। তবে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাটারি। অনেক সময়ই দেখা যায়, ফোনের ব্যাটারি ফুলে উঠছে। এটি শুধু ফোনের ক্ষতি করে না, ব্যবহারকারীর জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তাই ব্যাটারি ফুলে গেলে অবহেলা না করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
কেন ব্যাটারি ফুলে যায়?
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই লিথিয়াম-আয়ন বা লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। ব্যাটারির ভেতরে থাকে পাতলা ধাতব ও প্লাস্টিকের স্তর, ইলেকট্রোলাইট জেল এবং অ্যালুমিনিয়াম ব্যাগে সিল করা গ্যাস-প্রতিরোধী আবরণ। রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে জেল গ্যাসে পরিণত হলে ব্যাটারির ভেতরে চাপ তৈরি হয় এবং সেটি ফুলে ওঠে।
অতিরিক্ত চার্জিং, নিম্নমানের চার্জার ব্যবহার বা ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ এই ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: ফোনের স্পিকারের সাউন্ড কমে গেছে? এই ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতিতে সাউন্ড বাড়ান
কেন বিপজ্জনক?
ব্যাটারি ফুলে গেলে ফোনের পেছনের অংশ চাপে উঠে আসে। এতে ফোনের কাঠামো নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আগুন লাগা বা বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হয়। অনেকেই বাড়িতে নিজে নিজে ব্যাটারিতে ফুটো করে গ্যাস বের করার চেষ্টা করেন, যা মারাত্মকভাবে বিপজ্জনক। এতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা থেকে যায়।
বিজ্ঞাপন

নিরাপদে থাকার জন্য ৩টি সতর্কতা
১. ফুলে যাওয়া ব্যাটারি সঙ্গে সঙ্গে বদলান — দেরি না করে অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে নতুন ব্যাটারি লাগান।
২. ওভার-চার্জিং এড়িয়ে চলুন — ফোন ১০০% চার্জ হওয়ার পর চার্জারে লাগিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৩. নিম্নমানের চার্জার ব্যবহার করবেন না — শুধুমাত্র ব্র্যান্ড অনুমোদিত বা ভালো মানের চার্জার ব্যবহার করুন।
সারসংক্ষেপ
ফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া অবহেলার বিষয় নয়। সামান্য অসাবধানতা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব।
এজেড

