অফিসের কাজ হোক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাটজিপিটি এখনকার প্রজন্মের কাছে এক নির্ভরযোগ্য সহায়ক হয়ে উঠেছে। কেউ অসুখ হলে কী করবেন, আবার কেউ ঘুরতে যাওয়ার ট্র্যাভেল প্ল্যান—সবকিছুই জেনে নেওয়া যাচ্ছে মুহূর্তেই। শুধু তাই নয়, অনেকেই সময় কাটানোর জন্যও চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অনর্গল আড্ডা দিচ্ছেন।
তবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে যেমন সুবিধা আছে, তেমনই সতর্কতারও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, কিছু প্রশ্ন করলে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু বিষয় চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞেস করাই উচিত নয়।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা
চ্যাটজিপিটি কোনও চিকিৎসক নয়। রোগের লক্ষণ, পরীক্ষা বা ওষুধ সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসা কেবলমাত্র যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শেই নেওয়া উচিত।
ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত প্রশ্ন
“ভবিষ্যতে কী হবে?”, “১০ বছর পরে কী করব?”—এই ধরনের প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর চ্যাটজিপিটি দিতে পারে না। বরং এতে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য
পাসওয়ার্ড, ব্যাংক ডিটেইলস বা একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যা শেয়ার করা বিপজ্জনক। গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য
ব্যবসার লাভ-ক্ষতি, গোপন পরিকল্পনা বা আর্থিক কৌশল চ্যাটজিপিটিতে জানানো নিরাপদ নয়। এতে তথ্য চুরি বা নজরদারির শঙ্কা থাকে।
সাম্প্রতিক সংবেদনশীল ঘটনা
রাজনীতি, যুদ্ধ, অস্ত্র তৈরির নিয়ম কিংবা হ্যাকিং সংক্রান্ত প্রশ্নে বিভ্রান্তিকর উত্তর আসতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আবহাওয়ার তথ্য বা ব্রেকিং নিউজ জানার ক্ষেত্রেও নির্ভরযোগ্যতা কম।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের হানায় বিপদের মুখে কয়েক কোটি জিমেইল ব্যবহারকারী
সব মিলিয়ে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করার সময় চিকিৎসা, ভবিষ্যৎ, ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যবসায়িক গোপনীয়তা ও সংবেদনশীল সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন না করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
এজেড
