দেশে প্রথমবারের মতো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই (ভিওওয়াইফাই) সেবা চালু করেছে বাংলালিংক। এর ফলে গ্রাহকেরা এখন থেকে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে কল করে কানেক্টেড থাকতে পারবেন। কল হবে আরও স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য।
এ উদ্যোগ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের লক্ষ্যপূরণে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
বাসা, অফিস কিংবা অন্য কোন ইনডোর জায়গা, যেখানে নেটওয়ার্ক কাভারেজ তুলনামূলকভাবে দুর্বল, ভিওওয়াইফাই -এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা সেসব স্থানে বসে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে বাধাহীন ভয়েস কল করতে পারবেন এবং যোগাযোগ হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এ সেবার জন্য গ্রাহকের অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না। ফলে তাদের দৈনন্দিন যোগাযোগ হবে আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরে নির্বাচিত কিছু ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করেছে বাংলালিংক।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় করপোরেট গ্রাহক ও ব্যক্তিপর্যায়ে মোবাইল গ্রাহকদের জন্য এ সেবা চালু করা হচ্ছে। আরও বেশি মানুষ যেন এ সেবার সুবিধা পান, এজন্য পর্যায়ক্রমে দেশজুড়ে এ সেবার সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
উদ্ভাবনী এ সেবার উন্মোচন নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “আমাদের সব উদ্ভাবনের মূলে রয়েছে একটি সহজ প্রশ্ন – কীভাবে আমরা গ্রাহকের জীবনকে আরও সহজ করতে পারি। দেশে প্রথমবারের মত ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই সেবা চালুর উদ্যোগ আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণেরই প্রতিফলন। ভিওওয়াইফাই সংযোগকে করে তুলবে আরও স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য।
বিজ্ঞাপন
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী বলেন, এ সেবার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকেরা যেখানেই থাকুন না কেন, তারা স্বাচ্ছন্দ্য প্রতিদিনের ডিজিটাল লাইফস্টাইল উপভোগ করতে পারবেন। এ সেবার উদ্বোধন বাংলালিংকের লক্ষ্যপূরণেও এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ আমাদের অঙ্গীকার পূরণে ভূমিকা রাখবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সব অংশীদারদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই এ সেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে।”
ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও বাড়তি সুবিধা যুক্ত করতে বাংলালিংক ইতোমধ্যেই মাইবিএল, টফি, রাইজ ও এন্টারপ্রাইজ সল্যুশনসহ নানা ধরনের ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। বাংলালিংকের ভিওওয়াই-ফাই সেবা কানেক্টিভিটি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভূমিকা রাখবে; একইসঙ্গে দেশজুড়ে গ্রাহকেরা যেন সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল লাইফস্টাইলের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। -বিজ্ঞপ্তি
ক.ম/

