শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফেসবুক নাকি ইউটিউব ভিডিওতে ইনকাম বেশি?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ এএম

শেয়ার করুন:

ইউটিউব: স্থায়ী আয়ের বড় ভরসা
দুই প্ল্যাটফর্মেই ভিডিও আপলোড করে উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

বর্তমান সময়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ফেসবুক নাকি ইউটিউব, কোন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে বেশি আয় করা সম্ভব? দুই প্ল্যাটফর্মেই ভিডিও আপলোড করে উপার্জনের সুযোগ রয়েছে, তবে আয়ের ধরন, নিয়মনীতি ও টিকে থাকার সুযোগ ভিন্ন।

ইউটিউব: স্থায়ী আয়ের বড় ভরসা


বিজ্ঞাপন


ইউটিউব বিশ্বে সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।

আয়ের উৎস

Google AdSense (ভিডিওতে বিজ্ঞাপন)

চ্যানেল মেম্বারশিপ


বিজ্ঞাপন


Super Chat/Sticker (লাইভে ভক্তদের অবদান)

ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

সুবিধা

দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তা।

ভিডিও বছরের পর বছর আয়ে সাহায্য করে (Passive Income)।

গ্লোবাল ভিউয়ারশিপ, মানে সারা বিশ্ব থেকে আয়।

সীমাবদ্ধতা

মনেটাইজেশন পেতে সময় লাগে (১,০০০ সাবস্ক্রাইবার + ৪,০০০ ওয়াচ আওয়ার দরকার)।

প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।

ফেসবুক: দ্রুত জনপ্রিয়তার হাতছানি

ফেসবুক এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে।

আয়ের উৎস

ইন-স্ট্রিম অ্যাড (ভিডিওতে বিজ্ঞাপন)

রিলস বোনাস/মনেটাইজেশন

ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ

সুবিধা

ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সহজে দর্শক পাওয়া যায় (কারণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিশাল)।

নতুন ক্রিয়েটরের জন্য দ্রুত মনেটাইজেশন সুযোগ।

tube

সীমাবদ্ধতা

ভিডিও সবসময় স্থায়ী আয় আনে না—পুরোনো ভিডিও থেকে আয় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

ফেসবুকের নীতিমালা ঘন ঘন পরিবর্তন হয়।

শুধুমাত্র লোকাল ভিউয়ের উপর বেশি নির্ভরশীল।

কোনটি ভালো আয়ের জন্য?

দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী ও বড় অডিয়েন্স চাইলে ইউটিউব সেরা।

দ্রুত জনপ্রিয়তা ও স্বল্পমেয়াদি আয়ের জন্য ফেসবুক বেশি কার্যকর।

আরও পড়ুন: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় কেমন?

তবে সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো দুই প্ল্যাটফর্মেই ভিডিও আপলোড করা। এতে করে একদিকে ইউটিউব থেকে স্থায়ী আয়, অন্যদিকে ফেসবুক থেকে দ্রুত রিচ পাওয়া যায়।

ফেসবুক তাৎক্ষণিক আয়ের উৎস, ইউটিউব দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়ার ভরসা।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর