শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ওয়াটারপ্রুফ ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোনের পার্থক্য কী?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

ওয়াটারপ্রুফ ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোনের পার্থক্য
ওয়াটারপ্রুফ ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোনের পার্থক্য জানেন না অনেকেই। ছবি: ইন্টারনেট

আজকাল নতুন স্মার্টফোন কিনতে গেলে ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি খেয়াল করেন ফোনের ওয়াটারপ্রুফ বা ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফিচারের দিকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে বা হঠাৎ বৃষ্টিতে বাইরে থাকলে ফোন ভিজে যাওয়ার ভয় থেকেই এই সচেতনতা। তবে অনেকেই এই দুই টার্মকে এক মনে করেন, অথচ এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।

ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফোন কী?


বিজ্ঞাপন


ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফোন মানে হলো—

ফোনে এমনভাবে সিলিং বা কোটিং থাকে যাতে সামান্য পানি বা বৃষ্টির ফোঁটা সহজে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

সাধারণত ঘাম, ছিটানো পানি বা হালকা বৃষ্টিতে ফোন নিরাপদ থাকে।

তবে দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবলে ফোন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


বিজ্ঞাপন


সহজভাবে বললে, ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফোন "ছিটা পানি" সামলাতে পারে, কিন্তু পুরো ডুবে গেলে টিকবে না।

ওয়াটারপ্রুফ ফোন কী?

ওয়াটারপ্রুফ ফোন মানে হলো—

ফোন সম্পূর্ণভাবে পানির ভেতরে কিছু সময় টিকে থাকতে পারে।

অনেক ফোন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট গভীরতায় (যেমন ১ মিটার) পানির নিচে কাজ করতে সক্ষম।

সাধারণত এগুলোতে বিশেষ সিলিং ও সুরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

অর্থাৎ ওয়াটারপ্রুফ ফোন পানির ভেতরে ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু সেটাও সীমিত সময় ও গভীরতায়।

vs_pic

IP রেটিং বোঝার নিয়ম

ফোনের পানি প্রতিরোধ ক্ষমতা বোঝাতে IP রেটিং ব্যবহার করা হয়। যেমন—

IP67: ১ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে পারে।

IP68: ১.৫ মিটার বা তারও বেশি গভীরতায় দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে।

তাই ফোন কেনার সময় শুধু "ওয়াটারপ্রুফ" লেখা দেখলেই হবে না, সাথে তার IP রেটিংও দেখে নেওয়া জরুরি।

কোনটা বেছে নেবেন?

যদি ফোন শুধু বৃষ্টির ফোঁটা বা ঘাম থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান, তবে ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফোন যথেষ্ট।

কিন্তু যদি ভ্রমণ, আউটডোর অ্যাডভেঞ্চার বা পানির কাছে বেশি সময় কাটাতে হয়, তবে ওয়াটারপ্রুফ ফোনই নিরাপদ।

আরও পড়ুন: ১৫ হাজার টাকার মধ্যে বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ফোন

ওয়াটারপ্রুফ ও ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফোন দুটোই আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি নিশ্চয়তা দেয়। তবে কোনটি আপনার জন্য দরকারি হবে, তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহার ও পরিবেশের ওপর। ফোন কেনার আগে অবশ্যই IP রেটিং যাচাই করে নেওয়া উচিত।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর