এবার হোয়াটসঅ্যাপে নতুন জালিয়াতি চালু হয়েছে। ব্যবহারকারীরা সতর্ক না হলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। প্রতারকরা স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন OTP, ব্যাঙ্কের বিবরণ, পাসওয়ার্ড ও বার্তা চুরি করছে।
স্ক্রিন মিররিং ফ্রড কীভাবে কাজ করে?
১. প্রতারকরা কোন ব্যাংক বা আর্থিক সংস্থার কর্মচারী হিসেবে ফোন করে এবং অ্যাকাউন্টে সমস্যা থাকার অজুহাত দেখায়।
২. ব্যবহারকারীকে স্ক্রিন শেয়ারিং শুরু করতে বলা হয়, এবং হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে স্ক্রিন অ্যাক্সেস দাবি করা হয়।
৩. ব্যবহারকারী যখন ব্যাংকিং অ্যাপ, UPI বা পাসওয়ার্ডে প্রবেশ করে, তখন প্রতারকরা তা রিয়েল-টাইমে দেখে এবং লেনদেন সম্পন্ন করে।
৪. অনেক সময় প্রতারকরা মোবাইলে কীবোর্ড লগার ইনস্টল করে, যার মাধ্যমে তারা প্রতিটি টাইপ করা শব্দ, পাসওয়ার্ড ও OTP অ্যাক্সেস করে।
চুরি করা তথ্য ব্যবহার
এই তথ্য দিয়ে প্রতারকরা অননুমোদিত লেনদেন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, সোশ্যাল মিডিয়া ও UPI অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে এবং ভুক্তভোগীর পরিচয় অপব্যবহার করতে পারে।

বিজ্ঞাপন
ব্যাংকিং অ্যাপ কি নিরাপদ?
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ প্রধান ব্যাংকিং অ্যাপে স্ক্রিন ক্যাপচার ব্লক, সিকিউর সেশন ও টাইমআউট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে ব্যবহারকারী যদি অসাবধানতাবশত স্ক্রিন শেয়ারিং অনুমোদন করে, তাহলে প্রতারকরা সহজেই তা এড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: বেশিরভাগ মেয়েরা কেন ফেসবুক প্রোফাইল লক করে রাখে?
নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন?
যা করবেন:
১. সর্বদা অফিসিয়াল নম্বর থেকে কলারের পরিচয় যাচাই করুন।
২. শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির সাথে স্ক্রিন শেয়ার করুন।
৩. অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার বিকল্প বন্ধ রাখুন।
৪. সন্দেহজনক নম্বর ব্লক করুন এবং অভিযোগ দায়ের করুন
৫. সমস্ত আর্থিক এবং মেসেজিং অ্যাপে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সক্রিয় করুন।
যা করবেন না:
অজানা বা সন্দেহজনক কলের উত্তর দেবেন না।
স্ক্রিন শেয়ার করার সময় ব্যাংকিং বা UPI অ্যাপ ব্যবহার করবেন না।
চাপ দিয়ে কিছু বললে তা বিশ্বাস করবেন না।
এজেড

