ফোন ১০০% চার্জ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই দেখলেন চার্জ নেমে এসেছে ১০% এ। চার্জ ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখন ফের চার্জে বসাও। সারাদিনে যে এভাবে কতবার চার্জ দিতে হয়, একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। কিন্তু কেন কেন দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাচ্ছে?
এর কারণ হল ব্যাটারি। প্রতিদিনের ব্যবহারে ব্যাটারি দুর্বল হয়ে যায়। তখন আর দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে না। সেই কারণেই ফোন বা ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হল, এ থেকে মুক্তির উপায় কী?
বিজ্ঞাপন
মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রতিষ্ঠান মোবাইল কেলিংকের ডিরেক্টর লিজ হ্যামিলটন বলছেন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির গড় আয়ু ৫০০ চার্জিং সাইকেল বা দেড় বছর। শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জকে এক চার্জিং সাইকেল বোঝানো হয়। অর্থাৎ ফোন বা ল্যাপটপের চার্জিং সাইকেল যত বেশি হবে, ব্যাটারির আয়ু তত কমতে থাকবে।
এর কারণ হল রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া। চার্জিং চলাকালীন ডিভাইসের ভেতরে পরমাণুর স্তূপ জমতে থাকে। ফলে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারি দীর্ঘদিন সচল রাখার জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন টেক বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার ফুল চার্জ না দিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে চার্জ রাখার চেষ্টা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, চার্জিংয়ের সময় যেন ফোন বা ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে না যায়। এতে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। আয়ু কমে যায়। পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করা উচিত, যাতে একসঙ্গে একাধিক ডিভাইস চার্জ করার সুবিধা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কে না চায় ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ চলুক। এর জন্য শুধু সঠিক পদ্ধতিতে চার্জ করতে হবে। দুইটি পরিস্থিতিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। প্রথমত ফুল চার্জ দিলে। আর দ্বিতীয়ত, চার্জ একদম নেমে গেলে। ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ফুল চার্জ করলে ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়। এমনটাই দাবি লিজ হ্যামিলটনের।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন সপ্তাহে কতবার সুইচ অফ করা উচিত?
তিনি বলছেন, ফোনের চার্জ যেন একদম শূন্যে নেমে না যায়। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ চার্জ হলেই যথেষ্ট। ফুল চার্জ করার দরকার নেই। না হলে ব্যাটারির আয়ু কমে যাবে। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখার জন্য স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ফিচার যেমন লোকেশন, কিছু অ্যাপ ও নোটিফিকেশন বন্ধ রাখলেই ভাল। সঙ্গে লো পাওয়ার মোড চালু রাখতে হবে। এতে ব্যাটারি বেশি সময় টিকবে।
এজেড

