শহরে কিংবা গ্রামে—যাতায়াতের অন্যতম ভরসা মোটরসাইকেল। কিন্তু নিয়মিত তেল পরিবর্তন করলেও অনেকেই ভুলে যান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের যত্ন নিতে—ওয়েল ফিল্টার। অথচ এই ছোট যন্ত্রাংশটি ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব ও কর্মক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েল ফিল্টারের কাজ কী?
বিজ্ঞাপন
ওয়েল ফিল্টার বা তেল পরিশোধক মূলত ইঞ্জিন অয়েল থেকে ময়লা, ধাতব কণা, কার্বন জমাট, ধূলিকণা ইত্যাদি ছেঁকে ফেলে। কারণ ইঞ্জিন চলাকালীন সময় তেলের মধ্যে নানা ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ জমা হতে থাকে। যদি এসব ময়লা ইঞ্জিন অয়েলের সঙ্গে ইঞ্জিনে ঢুকে যায়, তবে তা ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশে ঘর্ষণ বাড়ায়, ক্ষয় করে এবং পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়। এখানে ওয়েল ফিল্টার সেইসব ক্ষতিকর উপাদান থেকে ইঞ্জিনকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে হেলমেটে কুয়াশা জমে কেন? সমাধান জানুন
ওয়েল ফিল্টার কতদিন পর পরিবর্তন করা উচিত?
সাধারণত প্রতি ২০০০–৩০০০ কিলোমিটার ব্যবহারের পর ওয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে বাইকের মডেল বা ম্যানুফ্যাকচারার অনুযায়ী এটি ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময় ওয়েল ফিল্টারও বদলে ফেলা উত্তম।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে যারা প্রতিদিন বাইক চালান বা দীর্ঘপথে যাতায়াত করেন, তাদের ক্ষেত্রে সময়মতো ফিল্টার বদলানো আরও জরুরি।

ওয়েল ফিল্টার বদলাতে দেরি করলে কী হতে পারে?
ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে
ঘর্ষণের কারণে যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
মাইলেজ কমে যেতে পারে
ইঞ্জিনের শব্দ বাড়তে পারে
দীর্ঘমেয়াদে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যেতে পারে
চিহ্নগুলো যেগুলো ইঙ্গিত দেয় ফিল্টার বদলানো প্রয়োজন:
বাইকের পারফরম্যান্স কমে যাওয়া
অস্বাভাবিক শব্দ হওয়া
কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়া
ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়া
নতুন অয়েল দেয়ার পরও অয়েল দ্রুত কালচে হয়ে যাওয়া
বাইক ব্যবহারকারীদের উচিত শুধু বাইকের বাইরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় গুরুত্ব না দিয়ে ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যও নিয়মিত পরীক্ষা করা। একটি সামান্য ওয়েল ফিল্টার বদল সময়মতো না করলে বড় ধরনের মেরামতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই মোটরসাইকেলের যত্নে ওয়েল ফিল্টার যেন অবহেলার শিকার না হয়—সেই সচেতনতাই এখন জরুরি।
এজেড

