প্রযুক্তির দুনিয়ায় স্মার্টফোন প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। তবে কোনো ফোন যখন ২–৩ বছরের বেশি সময় ব্যবহার হয়, তখন সেটির পারফরম্যান্সে ধীরে ধীরে পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। অনেকেই হয়তো খেয়াল করেন—ফোনটি আগের মতো চলছে না, কিন্তু বুঝতে পারেন না এটি ‘পুরনো হয়ে গেছে’।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, স্মার্টফোন পুরনো হলে ঠিক কোন লক্ষণগুলো দেখা দেয় এবং কখন ফোন বদলানোর কথা চিন্তা করা উচিত।
বিজ্ঞাপন
পুরনো স্মার্টফোনের সাধারণ লক্ষণগুলো
১. ফোন ঘন ঘন হ্যাং করে বা স্লো হয়ে যায়
পুরনো ফোনে র্যাম ও প্রসেসর ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। ফলে একাধিক অ্যাপ চালালে ফোন হঠাৎ করে ফ্রিজ হয়ে যায় বা রিস্টার্ট নেয়।

বিজ্ঞাপন
২. অ্যাপ লোড হতে সময় নেয়
আগে যেখানে ২ সেকেন্ডে অ্যাপ খুলতো, এখন সেখানে ১০ সেকেন্ড লাগছে? এটি পরিষ্কার লক্ষণ যে ফোনের পারফরম্যান্স কমে গেছে।
৩. ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়
পুরনো ফোনের ব্যাটারি আয়ু হ্রাস পায়। ফুল চার্জ দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। অনেকে চার্জার ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতেই পারেন না।
৪. ক্যামেরার ছবি ঝাপসা ও মানহীন হয়ে যায়
ফোন পুরনো হলে ক্যামেরার লেন্সে ধুলা, স্ক্র্যাচ বা সেন্সরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে ছবিতে শার্পনেস থাকে না, ন্যাচারাল কালার হারিয়ে যায়।

৫. নতুন সফটওয়্যার আপডেট আসে না
ফোন পুরনো হয়ে গেলে অনেক সময় নির্মাতা কোম্পানি সফটওয়্যার আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে এবং নতুন অ্যাপ ভালোভাবে চলে না।
৬. স্পিকার ও মাইক্রোফোনে সমস্যা দেখা দেয়
শব্দ কমে যাওয়া, কানে ভোঁতা শোনার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কল করার সময় স্পষ্ট ভয়েস পাওয়া যায় না।
৭. ওভারহিটিং সমস্যা
পুরনো ফোনে হালকা কাজ করলেও তা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এটি ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে এবং ফোনের আয়ু আরও কমিয়ে দেয়।
কখন ফোন বদলানো উচিত?
প্রতিদিনের কাজ ব্যাহত হলে
চার্জ এক ঘণ্টারও কম টিকে থাকলে
নতুন অ্যাপ বা সিকিউরিটি আপডেট না চললে
স্ক্রিন, ব্যাটারি বা ক্যামেরা বারবার মেরামত করতে হলে
আরও পড়ুন: এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?
স্মার্টফোন প্রযুক্তি যত দ্রুত এগোচ্ছে, পুরনো ফোন ততটাই পিছিয়ে পড়ছে। তাই যখনই উপরের লক্ষণগুলো একাধিকবার দেখা দিতে শুরু করে, তখন বুঝবেন—আপনার ফোন আর আগের মতো নেই। সময় এসেছে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবার।
এজেড

