ফোন রিসেট দিলে কী হয়? কখন রিসেট দেওয়া ভালো

ডাউনলোড করা অ্যাপ ও তাদের তথ্য

সেভ করা কন্টাক্ট নম্বর (যদি সিম বা গুগলে না থাকে)

এসএমএস ও কল হিস্টোরি

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ও ব্লুটুথ সেটিংস

লগ-ইন করা অ্যাকাউন্ট (গুগল, ফেসবুক, ইমেইল)

ফোনের নিজস্ব সেটিংস বা কাস্টমাইজেশন

তবে এসডি কার্ড ও সিম কার্ডের ডেটা সাধারণত মুছে যায় না, যদি না আপনি তা নিজে থেকে ফরম্যাট করেন।

ফোন রিসেট দিলে কী কী হয়?

১. ফোন একদম নতুনের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়

রিসেটের পর ফোনে কোনো ইউজার ডেটা থাকে না। ফলে প্রথমবার সেটআপ করার মতো অবস্থা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: ফোনের স্ক্রিন লক না করলে কি কোনো সমস্যা হয়?

২. গতি কিছুটা বাড়ে

অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ক্যাশে ও ব্যাকগ্রাউন্ড ফাইল মুছে গিয়ে ফোন কিছুটা ফাস্ট হতে পারে।

৩. সমস্যার সমাধান হয়

অনেক সময় ভাইরাস, সফটওয়্যার গ্লিচ বা বাগের কারণে সমস্যা হলে রিসেট দিলে তা ঠিক হয়ে যায়।

৪. ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে (বিক্রির আগে করলে)

ফোন অন্য কাউকে দেওয়ার আগে রিসেট দিলে আপনার তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয় কমে।

ফোন রিসেট দেয়ার আগে যা করবেন:

সব গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ নিন (গুগল ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড বা কম্পিউটার)

কন্টাক্ট, ছবি, ডকুমেন্ট—যা দরকার সব সংরক্ষণ করুন

গুগল বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন-আউট করুন (অনেক ফোনে FRP লোক থাকে)

চার্জ অন্তত ৫০% রাখুন

ফোন রিসেট দেয়ার উপায় (অ্যানড্রয়েডের জন্য):

Settings > System > Reset > Factory Data Reset > Confirm

আইফোনের ক্ষেত্রে:

Settings > General > Transfer or Reset iPhone > Erase All Content and Settings

ফোন রিসেট দেওয়া একদিকে যেমন পুরনো সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে, তেমনি নতুন করে শুরু করার জন্যও এটি দরকারি। তবে এটি দেয়ার আগে ব্যাকআপ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একবার রিসেট দিলে ডেটা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।

এজেড