ফেসবুকের অফিশিয়াল গাইডলাইনের ভিত্তিতে একটি ফোন নম্বর সাধারণত একটি মাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভেরিফিকেশন বা লগইন পদ্ধতির জন্য ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ, একটি ফোন নম্বর দিয়ে শুধুমাত্র একটি অ্যাকাউন্টে ভেরিফিকেশন বা ‘recovery’ নম্বর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে একই ফোন নম্বর দিয়ে অন্য অ্যাকাউন্ট খোলা টেকনিক্যালি সম্ভব হলেও, দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টে তা প্রধান নম্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বাস্তব চিত্র ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশসহ অনেক দেশে ব্যবহারকারীরা নানা কৌশলে একটি নম্বরে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালানোর চেষ্টা করেন। সাধারণত:
দ্বিতীয়/তৃতীয় অ্যাকাউন্টে ফোন নম্বর যুক্ত না করে ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়।
একটি ফোন নম্বর দিয়ে একবার অ্যাকাউন্ট খুলে সেটি পরে সরিয়ে দিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে সেটি যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়—যা ফেসবুকের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অনেক সময় অন্য অ্যাকাউন্টে ফোন নম্বর যোগ করা গেলেও ভেরিফিকেশন বার্তা (SMS) আর আসে না, কারণ নম্বরটি আগে থেকেই অন্য অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত।
বিজ্ঞাপন

ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ফেসবুক এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর ও উন্নত:
একই ফোন নম্বর দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করলে অনেক সময় অ্যাকাউন্ট ব্লক বা ভেরিফিকেশন চ্যালেঞ্জ দেয়।
আরও পড়ুন: নিজের নামে ১০টির বেশি সিম কেনা যাবে না
সন্দেহজনক লগইন বা নাম্বার রিসাইক্লিং দেখলে অ্যাকাউন্ট লিমিটেড বা বন্ধও করে দেওয়া হয়।

করণীয় ও পরামর্শ
যদি একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালানো জরুরি হয় (যেমন: ব্যক্তিগত ও পেশাগত ব্যবহারের জন্য), তাহলে-
প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ইমেইল ও ফোন নম্বর ব্যবহার করুন।
ফেসবুকের নাম ও তথ্য গোপন না করে বাস্তব তথ্য ব্যবহার করুন, যাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকে।
ভুলবশত একই নম্বর দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুললে পুরাতন অ্যাকাউন্ট থেকে নাম্বার রিমুভ করে নতুন অ্যাকাউন্টে যুক্ত করতে হয়।
একটি ফোন নম্বর দিয়ে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব হলেও তা ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে অনুমোদিত নয়। এটি করলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এবং অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই সচেতন ব্যবহারকারীর উচিত—প্রতিটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ফোন নম্বর ও ইমেইল ব্যবহার করা এবং ফেসবুকের শর্তাবলি মেনে চলা।
এজেড

