তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। গরমে স্বস্তির জন্য এসির চাহিদা বাড়লেও অনেকের পক্ষেই নতুন এসি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অনেকেই বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন—কিনছেন সেকেন্ড হ্যান্ড এসি। তবে পুরনো এসি কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
পুরনো এসি কেনার আগে যেসব বিষয় অবশ্যই দেখবেন
ব্র্যান্ড ও কোম্পানি:
পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের এসি কিনুন। নাম না-জানা বা লোকাল কোম্পানির এসি এড়িয়ে চলাই ভালো।
ব্যবহারের মেয়াদ:
এসিটি কতদিন ব্যবহার করা হয়েছে তা জেনে নিন। অত্যধিক পুরনো এসি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
বিজ্ঞাপন

বিল ও সার্ভিস হিস্ট্রি:
এসির মূল বিল দেখতে ভুলবেন না। এতে বোঝা যাবে সেটি কতদিনের পুরনো এবং আগে সার্ভিসিং হয়েছে কি না।
মেরামতের সুবিধা:
এসিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে কোম্পানি থেকে মেরামতের সুবিধা পাওয়া যাবে কি না, তা আগেই যাচাই করে নিন।
গ্যাসের অবস্থা:
এসির গ্যাস ঠিকঠাক আছে কি না একজন টেকনিশিয়ান দিয়ে চেক করান। ভবিষ্যতে গ্যাস লিক হলে তা হতে পারে বড় সমস্যা।

ইনভার্টার বনাম নন-ইনভার্টার:
ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও কার্যকর। নন-ইনভার্টার এসি তুলনামূলকভাবে সস্তা হলেও বিদ্যুৎ খরচ বেশি।
ফিল্টার পরীক্ষা:
ফিল্টার পরিষ্কার ও কার্যক্ষম কি না তা দেখে নিন। নোংরা বা পুরনো ফিল্টার থাকলে এসির কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
স্টার রেটিং:
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ফাইভ স্টার রেটিং থাকা উত্তম। অন্তত থ্রি স্টার রেটিং থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: এসি এই মোডে চালালে বিদ্যুৎ বিল কমে আসে
বিশেষ পরামর্শ:
এসি কেনার সময় একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান সঙ্গে রাখুন।
দাম কম হলেও যদি বেশি মেরামতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটি ভবিষ্যতে ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
সঠিক যাচাই-বাছাই করে সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কিনলে যেমন গরমে স্বস্তি মিলবে, তেমনি বাজেটও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
এজেড

