অনেকেই ঘর থেকে বের হলেই ফ্রি ওয়াইফাই জোন খোঁজেন। বাস, ট্রেন কিংবা রেল স্টেশনের পাবলিক ওয়াইফাইয়ের তরঙ্গ ফোনে কানেক্ট করতে চেষ্টা করেন। এছাড়াও অফিস-আদালত থেকে শুরু করে ক্যাফে কিংবা রেস্তোরাঁয় মেলে ফ্রি ওয়াইফাই ইন্টারনেট। এসসব জায়গাতেই সবাই পাবলিক ওয়াইফাই কানেক্ট করার জন্য মুখিয়ে থাকেন, ডেকে ডেকে পাসওয়ার্ড জিজ্ঞাসা করে নেন। ভাবেন, এবার যেন মুঠোয় চাঁদ এল।
ইউজারদের দোষ ঠিক দেওয়া যায় না। এটা তো সত্যি কথাই যে ওয়াইফাইতে ফোন কানেক্ট করা থাকলে তা যে মসৃণ অভিজ্ঞতা দেয়, তেমনটা ফোনের ডেটা দিতে পারে না। সঙ্গে আবার রয়েছে ফোনের ডেটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ও, যতই বেশি হোক, সীমা তো তার দৈনিক।
বিজ্ঞাপন

একই সঙ্গে কিন্তু ইউজারের ডেটাও হ্যাকারের হাতের মুঠোয় এল, সেটাও ভুললে চলবে না। এবার হ্যাকার যদি ফোনে অ্যাক্সেস পায়, ইউজারের সম্পর্কে সব তথ্য জেনে যাবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ হাতিয়ে পথে বসাবে, ছবি-ভিডিও ব্যবহার করেও অপরাধের মুখে ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: অর্ধেক দামে কেনা যাবে স্যামসাংয়ের এই ফোন
পাবলিক ওয়াইফাইতে নিরাপত্তার অভাবই এর প্রধান এবং একমাত্র কারণ। সাইবার অপরাধীরা সহজেই পাবলিক ওয়াইফাইয়ের অনিরাপদ কানেকশন হ্যাক করতে পারে, এর ফলে ডেটা চুরি এবং ইউজারের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সরকার তাই নাগরিকদের এই ধরনের নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকার সময়ে আর্থিক লেনদেন করা বা ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এজেড

