শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বা এসি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এই যন্ত্র চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তবে সৌর শক্তিতেও যন্ত্রটি চালানো সম্ভব। সোলার প্যানেল থেকে পাওয়া ডিসি ভোল্টেজকে এসি ভোল্টেজে রূপান্তর করে এসি চালানো সম্ভব। এছাড়াও বাজারে এখন সোলার প্যানেল থেকে সরাসরি চলে এমন ডিসি সিস্টেমের এসি পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে সোলার এসি। যার চাহিদারও অনেক।
আরও পড়ুন: এই এসি সারাদিন চালালেও এক টাকাও বিদ্যুৎ খরচ হবে না
বিজ্ঞাপন
সোলার এসির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর বিদ্যুৎ খরচ নেই। কেননা, এই এসিগুলো চলে সৌরশক্তিতে, অর্থাৎ এগুলো সূর্যের আলোতে কাজ করে। যেহেতু এই এসিগুলো সৌরশক্তিতে চলে। তাই এগুলি সারাক্ষণ চালালেও বিদ্যুৎ বিল নিয়ে টেনশনের আর কোন কারণ নেই।

১.৫ টন সোলার এসি
সোলার এসি নিঃসন্দেহে ব্যয়বহুল কিন্তু স্রেফ এটি এককালীন বিনিয়োগ। কারণ এগুলো ইনস্টল করার পরে আপনাকে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কারণ এই এসিগুলো বিদ্যুৎ খরচ করে না। এসির সাথে সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারিও দিচ্ছে সংস্থা।
বিজ্ঞাপন
ভারতে এক্সাল্টা নামের একটি কোম্পানি সোলার এসি বিক্রি করে। এই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির সোলার এসি দিনের বেলায় সোলার প্যানেল দিয়ে কাজ করে, কিন্তু সূর্যাস্তের পর অর্থাৎ সন্ধ্যায়, সোলার এসি ব্যাটারির সাহায্যে আপনাকে ঠান্ডা বাতাস দেয়। ৬টি সোলার প্যানেল (প্রতিটি প্যানেল ৩৫০ ওয়াট) এবং ৩০০ এএইচ লিথিয়াম ব্যাটারিসহ ১.৫ টনের এসিটি ভারতীয় বাজারে পৌনে তিন লাখ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও, মোসেটা নামে একটি কোম্পানি সোলার এসি বিক্রি করে, কোম্পানির অফিসিয়াল সাইটে, ১.৫ টনের সোলার এসি ১ লাখ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই পণ্যের কারিগরি স্পেসিফিকেশনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে এই এসিটি ৩৫০ ওয়াটের ২টি প্যানেল অথবা ৫৫০ ওয়াটের ১টি প্যানেলের সাথে আসবে। কিন্তু সৌরশক্তির পাশাপাশি, এই এসিটির জন্য ০.৫ অ্যাম্পিয়ার শক্তিও প্রয়োজন হবে, যার অর্থ এই এসি খুব কম বিদ্যুৎ খরচে শীতল শীতলতা প্রদান করবে।
এজেড

