প্রতিটি ঋতুতে ফ্রিজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শীতকাল হোক বা গ্রীষ্ম, বাড়ির রেফ্রিজারেটরটির কখনও ছুটি নেই। বাংলাদেশে আমরা বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া অনুভব করি, তাই অনেক মানুষই আছেন যারা বুঝতে পারেন না যে রেফ্রিজারেটরটি কোন তাপমাত্রায় সেট করা উচিত।
অনেক রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা নির্ধারণের ডায়াল থাকে ১ থেকে ৯ বা ১ থেকে ৭ নম্বরে, যা রেফ্রিজারেটরের ধরনের ওপর নির্ভর করে। দ্রুততম ঠান্ডা সেটিং হল ৭ বা ৯, এবং সর্বনিম্ন সংখ্যা, অর্থাৎ ১, হল রেফ্রিজারেটরের সবচেয়ে উষ্ণ সেটিং।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত ঠান্ডা সেটিং একটি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এবং সংখ্যাটি যত বেশি হবে, তাপমাত্রা তত ঠান্ডা হবে। যদি আপনার রেফ্রিজারেটর সঠিকভাবে ঠান্ডা না হয়, তাহলে ডায়ালের নম্বরটি বাড়িয়ে দিন। একইভাবে, যদি রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব ঠান্ডা হয় তবে ডায়ালের সংখ্যা কমিয়ে দিন।
এই মুহূর্তে আবহাওয়া খুব বেশি ঠান্ডাও নয়, খুব বেশি গরমও নয়, তাই তাপমাত্রা বেশি বা খুব কম রাখা ঠিক হবে না। অতএব, এই সময়ে রেফ্রিজারেটরের ডায়াল মাঝারি অর্থাৎ ৪ বা ৫ নম্বরে রাখা যেতে পারে।
শীত বসন্ত শেষে এবার গ্রীষ্মকাল এসে গেল। ধীরে ধীরে গরম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনিও রেফ্রিজারেটরটি কোন তাপমাত্রায় সেট করা উচিত তা নিয়ে বিভ্রান্ত হন, তাহলে আমরা আপনাকে কিন্তু সাহায্য করতে পারি।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু যেই আগামী কয়েকদিনে গরম বাড়তে বাড়তে তাপমাত্রা বেশ অনেকটাই বেড়ে যাবে, তখন কিন্তু আপনাকে ফ্রিজের ভিতরে তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য এটি ৬-৭ -এ রাখা প্রয়োজন হয়ে পড়বে।
শীতকালে অনেকেই রেফ্রিজারেটর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। এটি করা উচিত নয়। বরং সেই সময় এটিকে ২ বা ৩ নম্বরে সেট করা যেতে পারে। আবার বর্ষাকালেও একই তাপমাত্রা বজায় রাখা উচিত। যদি রেফ্রিজারেটরটি সঠিক সংখ্যায় সেট না করা হয়, তাহলে এতে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজ দেয়াল থেকে কতটা দূরে রাখবেন?
সম্পূর্ণ ঠান্ডা করা ঠিক নয়
অনেকসময় সাধারণ মানুষ মনে করেন যে রেফ্রিজারেটর খুব বেশি তাপমাত্রায় অর্থাৎ খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখা হলে ঠান্ডা হওয়ার কারণে খাবার তাজা ও ফ্রেশ থাকবে।
কিন্তু এই ধারণা মোটেই সত্য নয়, কারণ আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার কারণে খাবারের উপর বরফের স্তর তৈরি হয় এবং তাতে হিতে বিপরীত হয়ে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
এজেড