গরম প্রায় এসেই গেছে। এই সময়ে অনেকেই বাসা-বাড়িতে এসি লাগান। গরমে শীতল হাওয়া পেতে এসির বিকল্প নেই। যাদের এসি কেনার সুযোগ নেই তারা সিলিং ফ্যানে ভরসা রাখেন। তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে হাঁসফাঁস হলে কেউ কেউ একসঙ্গে দুটোই চালিয়ে দেন।
এক্ষেত্রে কিন্তু অনেকেই বলেন এসি চলাকালীন সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা উচিত নয়। মনে করা হয় দুটাই ইনস্টল করা থাকলেও এসি ও সিলিং ফ্যান ব্যবহার একসঙ্গে করা ঠিক হবে না। এটা কি সত্যিই ঠিক? জেনে নেওয়া যাক সত্যিটা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এসি ডিসি চার্জার ফ্যান কি ভালো?
এটি ঘরের লোকজনকে শীতল এবং আরামদায়ক বোধ করায়। একটি সিলিং ফ্যান ঘরের প্রতিটি কোণে শীতল বাতাস সঞ্চালন করে। এমন পরিস্থিতিতে খুব বেশি এসি চালানোরও দরকার পরে না।
কিন্তু ঘর থেকে ঠান্ডা বাতাস যাতে বেরিয়ে না যায় সেজন্য সাবধানে সমস্ত জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখা জরুরি। আসলে, এসির সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করলে আদতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হয়।

বিজ্ঞাপন
যারা এই বাস্তব বিষয়টির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নন, তারা এটা না জেনে ফ্যান চালু করার সময় এসি বন্ধ রাখেন বা এসি চালু থাকলে ফ্যান চালান না। কিন্তু তারা জানেন না যে তাঁরা দুটি একসঙ্গে চালু রাখলেই বেশি লাভ করতে পারবেন।
শুধু এর জন্য, এসিতে তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ এর মধ্যে সেট করতে হবে এবং ফ্যানের গতি সর্বনিম্ন রাখতে হবে। এটি করলেই ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে। আবার বিদ্যুৎ বিল থাকবে কন্ট্রোলে।

একটি পাখা বা ফ্যান পুরো ঘরের বাতাস সঞ্চালন করে। এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। একইসঙ্গে খরচও কম হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ৬ ঘণ্টা এসি ব্যবহার করলে ১২ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। কিন্তু যদি আপনি এসির সঙ্গে একটি ফ্যান চালান, তাহলে মাত্র ৬ ইউনিট খরচ হবে।
এর ফলে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে। কিন্তু বিদ্যুতের এই খরচের হিসেব অনেকেই জানেন না। আজকাল, সবার বাড়িতেই এসি আছে। তাই পুরোদমে গরম আসার আগেই এটি জেনে নেওয়া জরুরি।
এজেড

