মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মোবাইল সিকিউরিটি

আইফোন নাকি অ্যানড্রয়েড ফোন বেশি নিরাপদ?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম

শেয়ার করুন:

iphone vs android phone

পৃথিবীতে যত ধরনের ফোন আছে সেসবের মধ্যে জনপ্রিয় ফোন আইফোন। এরপরের অবস্থান অ্যানড্রয়েড ফোনের। এই দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের ফোনের মধ্যে জনপ্রিয় অ্যানড্রয়েড। কিন্তু প্রিমিয়াম সেগমেন্টে রাজত্ব করছে অ্যাপলের আইফোন। অনেকের মনেই প্রশ্ন আইফোন নাকি অ্যানড্রয়েড ফোন বেশি নিরাপদ?

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যানড্রয়েড ডিভাইসের তুলনায় আইওএসকে সহজেই নিশানা বানিয়ে ফেলছে হ্যাকাররা। যার ফলে নিজেদের ডেটা বা তথ্য নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ফোন কিনে বাক্স ফেলে দেন? জানুন কী ভুলটাই না করছেন

নিজেদের প্রিভেসি স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়ে সব সময় আলোচনা করে অ্যাপল। সেই সঙ্গে তা কীভাবে আইফোন ইউজারদের রক্ষা করে, সেই বিষয় নিয়েও কথা বলে তারা। 

লকআউটের সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, আইফোনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় বিক্রি হয় অ্যানড্রয়েড। ফলে হ্যাকাররা খুব সহজেই আইফেনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। যার জেরে উদ্বেগে ভুগছেন অ্যাপল ব্যবহারকারীরা।

battle


বিজ্ঞাপন


আইফোনই কেন হ্যাকারদের টার্গেট?

ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, আইওএস ডিভাইস এন্টারপ্রাইস সেগমেন্টের পছন্দের তালিকায় থাকে। ফলে তা ফিশিং অ্যাটাকের নিশানায় থাকছে। এমনকি ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ১৮.৪ শতাংশ ওই প্রান্তিকে টার্গেট করা হচ্ছে, যেখানে মাত্র ১১.৪ শতাংশ অ্যানড্রয়েড ডিভাইস হ্যাকারদের নিশানার মুখে থাকে।

এই সমস্ত ডিভাইস হ্যাক করার চেষ্টার অর্থ হল, পাসওয়ার্ড, ইউজারনেম-এর মতো ডেটা প্রবল ঝুঁকির মুখে থাকে। তাই ব্যবহারকারীদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকা আবশ্যক। নিজেদের অফিসিয়াল ডিভাইসে কীসে ক্লিক করা হচ্ছে, বা কোন লিংক ওপেন করা হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। আইফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত আইওএস আপডেটের বিটা ভার্সন ইনস্টল করে থাকেন। অথচ এটি এই ডিভাইসগুলোর জন্য উপযুক্ত নয়। আসলে পাবলিক ভার্সনের তুলনায় এর সিকিউরিটি লেভেল অনেকটাই কম।

ফিশিং অ্যাটাকও আজকালকার দিনে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুধুমাত্র এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদেরই এর তীব্রতা সম্পর্কে শঙ্কিত হওয়া দরকার, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ যে কেউ অপিরিচিত নম্বর থেকে ই-মেল পেতে পারেন। যেখানে আকর্ষণীয় অফার অথবা ডিল আসতে পারে। আর সেই ডিলের প্রলোভনে পা দিলেই বিপদ। কারণ অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাকাররা ডিভাইস এবং ডেটার অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। আর ঘুণাক্ষরেও বিপদের বিষয়ে টের পান না ব্যবহারকারীরা।

তবে যেটা সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে, সেটা হল চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই ধরনের অ্যাটাক আরও বাড়তে চলেছে। তার সবথেকে বড় কারণ হল এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কার। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের এই বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে এই অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলেছেন তারা।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর