যুগটা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দখলে। তরুণ সমাজ ভাইরাল হওয়ার চিন্তায় আছে। কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে ছবি, ভিডিও পোস্ট করে ভাইরাল হওয়া যাবে সেই চিন্তা তাদের মনে।
শুধু তরুণরাই নয়, যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী চান তার পোস্ট-ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হোক।
বিজ্ঞাপন
এদিকে যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছেন তাদের তো জ্ঞান-জ্ঞানই কীভাবে ভিডিও ভাইরাল করবেন। এই চিন্তায় অসাধু উপায় অবলম্বন করতেও ছাড়েন না।
বিশেষ করে যারা টিকটকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন তাদের প্রতিযোগিতা থাকে কী করে বেশি ভিউ পাওয়া যায়। চাইলে অর্গানিক উপায়েও টিকটকে ভাইরাল হতে পারেন। এজন্য নিরলস প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জানুন সেই উপায়।
আরও পড়ুন: প্রমোশন ছাড়াই ফেসবুকে রিচ বাড়ানোর কৌশল জানুন
১. টিকটকে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করুন
প্রতিদিন ভিডিও দিলে যারা টিকটক অ্যালগারিদম আপনার ভিডিও অন্যদের সামনে নিয়ে যাবে। দুই একটা ভিডিও দিয়ে ভাইরাল হওয়ার চিন্তা করলে ভুল করবেন।
বিজ্ঞাপন
২. ট্রেন্ডিং সাউন্ড ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং ভিডিও
টিকটকে সব সময় নির্দিষ্ট কিছু কিছু গান ও সাউন্ড ভাইরাল হয়, একই গানের ভিডিও ভিউয়ারেরা অনেকগুলো করে করে দেখে। ভিউয়াররা দেখতে চায় কোন টিকটকার কেমন ভিডিও বানালো একই সাউন্ড দিয়ে। তাই ট্রেন্ডিং সাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করুন।

৩.সেলিব্রেটিদের সঙ্গে ডুয়েট করুন
জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের সঙ্গে ডুয়েট করলে খুব সহজে পরিচিত হওয়া যায়। কেননা, সেলিব্রেটিদের ভিডিও সবাই দেখে তাই তার ভিডিও দেখলে সাথে আপনার ও ভিউ হবে অথবা আপনি নিজেও ফ্লোয়ার বাড়বে।
৪. আলাদা ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড
আলাদা ধরনের ভিডিও বানালে আপনার ভিউয়ারেরা নতুন কিছু দেখে বেশি মজা পাবে। আলাদা টিকটকারেরা আপনার ভিডিও ডুয়েট করবে যাতে করে আপনার ভাইরাল হওয়ার চান্স বেড়ে যাবে।
৫. ক্লিয়ার ভিডিও পাবলিশ করুন
পরিস্কার ভিডিও পাবলিশ না করলে আপনার ভিডিও দেখে কেউ মজা পাবেনা। তাই যত সম্ভব হাই-কোয়ালিটি ভিডিও দেওয়ার চেস্টা করুন।
ভিডিও এর মান বৃদ্ধি করুন। তাহলে যত মানুষের ভালো লাগবে যত লাইক দিবে তত ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।
৬. নির্দিষ্ট টাইমের ভিডিও পাবলিশ করুন
ভিডিও এর টাইম ৩০ সেকেন্ড এর বেশি করবেন না। যদি আপনি ৩০ সেকেন্ড এর বেশি করেন আর সেই ভিডিও পুরোটা যদি অনেকেই না দেখে তবে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে না।
তাই আপনি পুরো ভিডিও দেখানো চেস্টা করুন। পুরো ভিডিও দেখানো জন্য ৩০ সেকেন্ড এর মধ্যে ভিডিওটি সাজান। তাহলে টিকটকের অ্যালগারিদম আপনার ভিডিও রিচ করাবে। আর আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার চান্স তৈরি হবে।

৭. টাইটেল ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন
নির্দিষ্ট টাইটেল ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি যেমন ভিডিও শেয়ার করেছেন ওই একই রকম ভিডিও যারা ছেড়েছে তাদের টাইটেল ও হ্যাশট্যাগগুলো দেখে আইডিয়া নিয়ে ওই রকম টাইটেল ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে।
৮. গেমস খেলুন
মাঝে মাঝে টিকটকে বিভিন্ন ধরনের গেমস আসে ওইগুলো দিয়ে ভিডিও বানিয়ে প্রকাশ করুন। যত দ্রুত নতুন গেম এর ভিডিও ছাড়তে পারবেন ততটাই ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
৯. ভিডিওতে ইফেক্ট ব্যবহার করুন
ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের মজার মজার ইফেক্ট ব্যবহার করুন তাতে ভিডিওটি দেখতে অনেক সুন্দর হবে। যার কারণে আপনার লাইক কমেন্ট আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যতবেশি লাইক কমেন্ট আসবে ততটাই ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।
১০. কমেন্টের রিপ্লাই দিন
অনেকেই কমেন্টের রিপ্লা দেন না। যার কারণে কমেন্টকারী উৎসাহ পান না। আপনি যদি কমেন্টের রিপ্লাই দেন তাহলে তার ভালো লাগবে পরে আরো কমেন্ট করতে উৎসাহ পাবে। কমেন্ট এ রিপ্লাই দিলে ওই ভিউয়ার আপনার কথা বেশি মনে রাখবে। এভাবে ভিউয়ার ও ফ্লোয়ার বারতে থাকবে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দেওয়া কি ভালো?
১১. রোস্টিং ভিডিও ভুলেও পাবলিশ করবেন না
রোস্টিং ভিডিও যদি দেন তবে ভাইরাল হওয়া তো পরের কথা আপনি আগেই সাসপেন্ড হবেন। তাই ভাইরাল হওয়ার পথ নস্ট না করতে চাইলে রোস্টিং ভিডিও দিবেন না।
এমনি কারো বিষয়ে খারাপ কোনো মন্তব্যও করবেন না।
১২. কভার ফটো ব্যবহার করুন।
যদি সম্ভব হয় তবে কভার ফটো দেওয়ার চেস্টা করুন।
১৩. এভরিওয়ান মোডে ভিডিও পাবলিশ করুন
অনেকেই ভুল করে Only Me মোডে ও অন্যান্য মোডে ভিডিও পাবলিশ করেন। যার কারণে কারোর সামনে ভিডিওটি আসে না। তাই অবশ্যই টিকটক পাবলিশ করার আগে Everyone মোড সিলেক্ট আছে কিনা তা খেয়াল করুন তারপর ভিডিও পাবলিস করুন।
এজেড

