সাইবার জগতে প্রতারণা বেড়েই চলেছে। অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে টিকিট বুকিং, ই-ব্যাংকিং, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস থেকে শুরু করে সবখানে ফাঁদ পেতে বসে আছে সাইবার অপরাধীরা৷ কেবল টাকাপয়সা নয়, আপনার মোবাইলটিকে হ্যাক করে যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য অপরাধীর জিম্মায় চলে যেতে পারে৷
তা হলে উপায়? ফোন হ্যাক হয়েছে কি না তা বোঝার কিন্তু উপায় রয়েছে৷ সেগুলো কী? জেনে নিন
বিজ্ঞাপন
ফোন চার্জ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চার্জ তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ শুধুমাত্র ফোন খারাপ হলেই যে এমন হবে তা কিন্তু নয়, ফোন হ্যাক করলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এর কারণ হতে পারে, এমন কোনও অ্যাপ্লিকেশন চলছে, তার জন্যই এই সমস্যা৷ আর এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই হয়তো কোনও হ্যাকর হানা দিয়েছে আপনার ফোনে৷

অনেক ক্ষণ ধরে ফোনে কথা বললে মুঠোফোন গরম হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু যদি উল্টোটা হয়? অর্থাৎ ফোন নিয়ে বিন্দুমাত্রও ঘাঁটাঘাঁটি করলেন না অথচ ফোন খুব গরম হয়ে গেল! এরকম যদি হয় তা হলেও কিন্তু সাবধান হয়ে যাওয়াই ভালো
ফোনে দেখবেন মাঝে-মধ্যেই মেসেজ বা পপ আপ আসতে থাকে৷ তা হলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান৷ যদি দেখেন বিভিন্ন রকম অযাচিত ও অশ্লীল নোটিফিকেশন ফোনে আসতে শুরু করে দিয়েছে, তা হলেও সতর্কতা নেওয়া শুরু করুন৷
বিজ্ঞাপন
ফোন যদি হঠাৎ করে নিজে থেকেই রিস্টার্ট হতে শুরু করে দিয়েছে, বা নিজে থেকেই অ্যাপ ইনস্টলড হতে শুরু করে, তা হলে বুঝবেন লক্ষণ খুব একটা সুবিধার নয়৷
আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টের ‘ভিউ’ কত জানার সুযোগ এলো
হঠাৎ দেখবেন ফোন হয়তো নিজে থেকই কোনও অ্যাপ ইনস্টলড হতে শুরু করে৷ তা হলে বুঝবেন লক্ষণ সুবিধার নয়৷ এমনও হতে পারে ফোনে নিজে থেকেই কোনও নম্বর ডায়াল হয়ে যাচ্ছে বা কোনও অ্যাপ আপনা হতেই খুলে যাচ্ছে৷ তেমন হলে বুঝতে হবে আপনার মুঠোফোনের নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যেই হয়তো অন্য কারওর হাতে চলে গিয়েছে৷
যদি দেখেন, আপনার ফোন থেকে আপনারই ঘনিষ্ঠদের ফোনে কল ও মেসেজ চলে যাচ্ছে৷ বা নিজে থেকেই পোস্ট হয়ে যাচ্ছে, তখনই সাবধান হয়ে উঠবেন৷ বুঝতে পারবেন আপনার ফোনটি কব্জা করে নিয়ে কেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি চালাচ্ছে৷ ফোনের অ্যাপ্লিকেশনও নিয়ন্ত্রণ করছে৷

যদি দেখেন ফোনের গ্যালারিতে অচেনা কারও ছবি রয়েছে অথবা সন্দেহজনক ছবি আপনার ফোনে আচমকাই চলে আসছে৷ আপনার ফোনের ক্যামেরার ফ্ল্যাশও যদি আপনি হাত না লাগাতেই অন হয়ে যায়, তা হলেও কিন্তু বেশ চিন্তার কারণ রয়েছে৷
হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়
এর জন্য অবশ্যই সবসময় সফটওয়্যার আপডেট করে রাখুন৷ ফোনে চেষ্টা করবেন ভাল কোম্পানির অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখতে৷
অজানা বা সন্দেহজনক কোনও অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভালো৷ ডাউনলোড করার আগে ভালো করে দেখে নিন অ্যাপটি কে বা কারা তৈরি করেছে? রিভিউও দেখে নিন৷ অ্যাপটি ইনস্টল করার সময় যদি কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলে, তা হলে বুঝবেন সেটা ভুয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
ইমেল বা মেসেজে কোনও লিংক এলে সেটি খুলবেন না। যদি কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়, তা হলে ভুলেও সেই ফাঁদে পা দেবেন না। এই ভাবেই ম্যালঅয়্যার ইনস্টল করিয়ে ফোন কব্জা করে নেয় হ্যাকাররা।
এজেড

