অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু সব গ্রুপে অ্যাকটিভ থাকার মতো সময় নেই। এমনটা প্রায়ই হয়। তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। গ্রুপের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে নতুন ফিচার আনতে চলেছে মেটা। এতে গ্রুপের সব তথ্য ইউজারের হাতের মুঠোয় থাকবে। সবকিছু মিলবে সহজেই।
কী এই ফিচার? এর নাম ‘গ্রুপ মেনশন ফিচার’। ইউজাররা এই ফিচারের সাহায্যে এখন স্ট্যাটাস আপডেটে পুরো গ্রুপ চ্যাট দিতে পারবেন। ফলে সহজেই তথ্যের আদান প্রদান করতে পারবে অ্যাকটিভ গ্রুপগুলো। গ্রুপ সদস্যদেরও সুবিধা হবে। এমনটাই জানিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন চার্জ দিতে কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়?
হোয়াটসঅ্যাপ বেটা ইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এই ফিচার অ্যানড্রয়েড বিটা টেস্টারদের জন্য রোল আউট করা হয়েছে। এতে স্ট্যাটাসে গ্রুপ চ্যাট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইউজারকে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রুপের মেম্বারদের কাছে নোটিফিকেশন যাবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত চ্যাটে মেসেজও। অবশ্য সাধারণ ইউজাররা কবে থেকে এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

গ্রুপে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, মেসেজ বা ইভেন্টের কথা জানানো হলেও অনেক মেম্বারেরই নজর এড়িয়ে যায়। তখন আলাদা আলাদা করে সবাইকে বলতে হয়। এই ফিচারের ফলে ম্যানুয়ালি জানানোর আর প্রয়োজন পড়বে না। একসঙ্গে সব মেম্বারই গুরুত্বপূর্ণ আপডেট বা ঘোষণা জেনে যাবেন।
বিজ্ঞাপন
এখানেই শেষ নয়। এই ফিচারের আরও সুবিধা রয়েছে। স্ট্যাটাস দেখার জন্য নির্দিষ্ট কনট্যাক্টের প্রাইভেসি সেটিংসও বদলাতে হবে না। গ্রুপে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই গ্রুপের সমস্ত সদস্য স্ট্যাটাস আপডেট দেখতে পাবেন, এমনকি যারা গ্রুপ চ্যাট মিউট করে রেখেছেন তারাও। ফলে সমস্ত সদস্যের কাছে এমনকি যারা অ্যাকটিভ নন তাঁদের কাছেও গ্রুপের সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে।
‘গ্রুপ মেনশন ফিচার’-এর পাশাপাশি ডায়রেক্ট মেসেজ বা ডিএম-এর জন্য নতুন ফিচার চালু করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের নাম ‘কাস্টম লিস্ট’। এর মাধ্যমে ইউজার তাঁদের কনট্যাক্টগুলোকে কাস্টমাইজড করতে পারবেন। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার সুযোগ থাকছে। এর ফলে ইউজারের ইনবক্স গোছানো থাকবে। নির্দিষ্ট কোনও কনট্যাক্ট খুঁজে বেরতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হবে না।
আবার যে সব কনট্যাক্টের সঙ্গে নিয়মিত চ্যাট বা গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন হয়, সেগুলোকেও আলাদা করে রাখতে পারবেন ইউজার। দরকারের সময় খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে না। সহজেই কাজ করতে পারবেন। এতে যেমন ইউজারের পরিশ্রম তেমনই সময়ও।
এজেড

