স্মার্টফোন একটি জনপ্রিয় ডিভাইস। আগে এটি কেবলমাত্র যোগাযোগের যন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন বিনোদনের অনুসঙ্গ হয়েছে।
হাতে স্মার্টফোন না থাকলে এখন অনেক মানুষই চোখে অন্ধকার দেখবেন। হাতের ফোনটা না থাকলে অনেকের কাছে জগৎ অন্ধকার। গোটা একটা দিন এখন অনেকেই স্মার্টফোন ছাড়া থাকতে পারবেন না হয়তো! কারণ স্মার্টফোন এখন আমাদের কাজের একটা অঙ্গ।
বিজ্ঞাপন
স্মার্টফোন আজকাল প্রায় সবার জীবনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কারণ সারাটা দিনের অনেক কাজই এখন নির্ভর করে ফোনের উপর। তাছাড়া স্মার্টফোন মনোরঞ্জনের একটা উপায়।

আপনি আজ যে স্মার্টফোন মডেল কিনবেন, আগামীকাল সেটা পুরনো হয়ে যাবে। কারণ প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একের পর এক নতুন স্মার্টফোন মডেল লঞ্চ করছে প্রায় সব কোম্পানি। ফলে আজকের স্মার্টফোন আগামীকাল পুরনো বলে মনে হতে পারে।
অনেকেই ৩-৪ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন মডেল ইউজ করছেন। আর সেসব ফোন চলছেও দিব্যি। তবে জানেন কি, একটা স্মার্টফোন মোটামুটি কতদিন ভালোভাবে চলতে পারে।
বিজ্ঞাপন

স্মার্টফোন অনেকের হাত থেকেই পড়ে যায়। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেন, ফোন হাত থেকে পড়তে ক্ষতি হয় বেশি। আর সেই ক্ষতি অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। ফলে অনেকেই ফোনে ভাল কভার ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন হ্যাক হলে এই ৫ লক্ষণ দেখা যায়
স্মার্টফোন মানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। তার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর মেয়াদ একটা সময়ের পর শেষ হয়ে যায়। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ নেই। এতে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু নেই।

অনেকেই ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তারা কোনও রকমের রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বহু বছর ধরে নির্দ্বিধায় নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা বছরের পর বছর চলতে থাকে।
তবে বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কোম্পানি দুই থেকে তিন বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: ফোনে নেটওয়ার্ক না পেলে কী করবেন?
স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করা উচিত? আসলে ফোন ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তর। অনেকেই ঘন ঘন নিজেদের স্মার্টফোন পরিবর্তন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পরিবর্তন করেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।
এজেড

