মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের সব চ্যাটই ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। অন্য কেউ দেখতে পায় না। কিন্তু ফোনটাই যদি বন্ধুবান্ধব বা অন্য কারও হাতে পড়ে তাহলে? এ কথা মাথায় রেখেই ব্যক্তিগত চ্যাটের সুরক্ষায় বেশ কিছু সিকিউরিটি ফিচার চালু করেছে মেসেজিং অ্যাপ।
ইউজাররা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ব্যক্তিগত চ্যাট লক করতে পারেন। কিন্তু এতে একটা ফাঁক রয়েছে। ফোন লক করতে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়, তা দিয়েই এই চ্যাট লক করতে হয়। সুতরাং কেউ যদি ফোন আনলক করতে পেরে যায়, তাহলে সব চ্যাট তার হাতের মুঠোয়।
বিজ্ঞাপন
এই সব ফাঁকফোকর বন্ধ করে ব্যক্তিগত চ্যাটকে ফুলপ্রুফ রাখতে নয়া সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে এল হোয়াটসঅ্যাপ। এর নাম ‘সিক্রেট কোড’ ফিচার। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস, উভয় সিস্টেমেই কাজ করবে এই ফিচার। কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে এই ফিচার চালু করবেন ইউজার? কী কী সুবিধা মিলবে? দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: ফোনে আসা ওটিপি মনে রাখার বদলে গুগলে এই সেটিংসটি করুন
সিক্রেট কোড ফিচার কী: সিক্রেট কোড ফিচারের মাধ্যমে ইউজার লকড চ্যাটে কাস্টম পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন। এমনকি নিজের পছন্দমতো নামও দেওয়া যায়। অ্যাপের ওপরের দিকে থাকবে এই লকড চ্যাট। ফোন যদি অন্য কারও হাতে পড়েও, এই সব চ্যাট তার পক্ষে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর যদি পেয়েও যান, তাহলেও সিক্রেট কোড ছাড়া খুলবে না। ভুল কোড টাইপ করলে চ্যাট লক অবস্থাতেই থাকবে। অন্য কোনওভাবেই সেই চ্যাটের নাগাল পাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞাপন
সিক্রেট কোড সেটআপ: সিক্রেট কোড ফিচার ব্যবহারের জন্য আগে ডিভাইসের কিছু চ্যাট লক করতে হবে। এর জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। এবার ইউজার যে চ্যাট লক করতে চান, সেটাতে প্রেস এবং হোল্ড করবেন। চ্যাট সিলেক্ট হয়ে গেলে স্ক্রিনের উপরের ডান দিকে থ্রি ডটস মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ‘লক চ্যাট’ অপশন আসবে। তাতে ক্লিক করতে হবে। এরপর কন্টিনিউ-তে ট্যাপ করতে হবে ইউজারকে। সবার শেষে বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লক) দিয়ে অথেন্টিকেট করতে হবে। তাহলেই চ্যাট লক হয়ে যাবে। ইউজার ‘চ্যাটস’ ট্যাব থেকে সোয়াইপ করে ‘লকড চ্যাটস’ সিলেক্ট করে সেগুলো খুলতেও পারবেন। এবার সিক্রেট কোড সেট আপের পালা।
এজেড