এখনকার বেশিরভাগ স্মার্টফোন আইপি রেটিংযুক্ত থাকছে। কিছু ফোনের রেটিং আইপি৬৯, আবার কিছু ফোনের আইপি৬৭। অনেক ফোনে আবার আইপিএক্স৪ রেটিংও দেখা যায়। কিন্তু এই আইপি রেটিংটা ঠিক কী? এ থেকে কী বোঝা যায়? এই বিষয়টা জানেন না অনেকেই।
আরও পড়ুন: ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোন আনছে শাওমি
বিজ্ঞাপন
আইপি রেটিং কী?
আইপি রেটিং এক ধরনের সার্টিফিকেট বা লেবেল। এ থেকে হাতে থাকা স্মার্টফোন ডাস্ট এবং ওয়াটারপ্রুফ কি না এবং হলে কতটা, তা বোঝা যায়। সোজা কথায়, ধুলা এবং পানি থেকে কতটা সুরক্ষিত, পরিষ্কার হয়ে যায় আইপি রেটিং থেকে। এই মানদণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে সেট করা হয়েছে। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোও ফলাও করে এর প্রচার করে।
ip/আইপি মানে কী?
বিজ্ঞাপন
IP-তে দুটি অক্ষর রয়েছে I এবং P। I-এর অর্থ হল, ingress। যার বাংলা করে দাড়ায় প্রবেশক্ষমতা। আর P মানে Protection। অর্থাৎ সুরক্ষা বা নিরাপত্তা। অর্থাৎ ফোন ধুলF, বালি বা পানি কতটা আটকাতে পারে তাই বোঝায় IP রেটিং। তার মানে এই নয় যে কেউ ময়লার মধ্যে ফোন ফেলে রাখলেন বা পানিতে চুবিয়ে রাখলেন। শুধুমাত্র সাধারণ পরিস্থিতিতে সুরক্ষা বা নিরাপত্তা স্তর বোঝাতেই এই রেটিং ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনো ফোন: এই ফোন নিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা যাবে
IP রেটিং কীভাবে কাজ করে?
রেটিংয়ের সময় IP-এর পর দুটি সংখ্যা দেওয়া হয়। যেমন ৬৮ বা ৬৭। প্রথম সংখ্যা ধুলা-বালি থেকে কতটা সুরক্ষিত সেটা নির্দেশ করে। ৬ মানে ডিভাইসটি সম্পূর্ণ ডাস্টপ্রুফ। দ্বিতীয় সংখ্যা পানির হাত থেকে ডিভাইসকে রক্ষা করার ক্ষমতা বোঝায়। এক্ষেত্রে ৯ মানে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১.৫ মিটার গভীর পানিতে স্মার্টফোন পড়ে গেলে কোনও ক্ষতি হবে না।
আইপি৬৭
অনেক ফোনেই এই রেটিং দেওয়া থাকে। এর অর্থ হল স্মার্টফোন সম্পূর্ণ ডাস্টপ্রুফ। কারণ ৬ সংখ্যাটি রয়েছে। আর দ্বিতীয় সংখ্যা রয়েছে ৭। এর মানে হল, ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১ মিটার গভীর পানিতে স্মার্টফোন ডুবিয়ে রাখলেও কোনও ক্ষতি হবে না।
এজেড