ফোন পুরনো হলে স্লো হয়ে যায়, তখন হ্যান্ডসেট থেকে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই নতুন ফোন কেনেন। কিন্তু সবার নতুন ফোন কেনার সাধ্য নেই। তাহলে উপায়? উপায় আছে। বেশ কিছু টিপস মেনে চললে পুরনো ফোনও চলবে নতুনের মতো। জানুন সেই উপায়।
পুরনো স্মার্টফোনের মেকওভার করতে হবে। বর্তমানে দুই ভাবে স্মার্টফোন কাস্টমাইজ করা যায়। হার্ডওয়্যার কাস্টমাইজেশন এবং সফটওয়্যার কাস্ট মাইজেশন। তাহলেই ফোন হয়ে যাবে নতুনের মতো। নতুন করে পুরনো ফোনের প্রেমে পড়ে যাবেন ইউজার।
বিজ্ঞাপন
হার্ডওয়্যার কাস্টমাইজেশনে নতুন কাস্টম স্কিন দেওয়া হয়। সহজ বাংলায় ‘কভার’। স্মার্টফোনের মডেলের ওপর নির্ভর করে নানা রকম কভার হতে পারে। আর যদি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন থাকে, বিশেষ করে অ্যাপল বা স্যামসংয়ের মতো ব্র্যান্ডের, তাহলে ইউজারের কাছে আরও বেশি বিকল্প থাকবে।
কভার স্মার্টফোনকে স্ক্র্যাচ থেকে বাঁচায়। আবার ফোনের আসল রঙ ধরে রাখতেও সাহায্য করে। স্টাইলিশও দেখায়। দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা। তবে প্রিন্ট, স্কিনের ফিটনেস, ব্যবহৃত উপাদান, ফিনিশের ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়তেও পারে।
বিজ্ঞাপন
এবার আসা যাক, সফটওয়্যার কাস্টমাইজেশনে। প্রথমেই লক স্ক্রিন এবং হোম স্ক্রিনের ওয়ালপেপার বদলে ফেলতে হবে। সত্যি বলতে কী, এটুকুতেই স্মার্টফোন নতুনের মতো দেখাবে। এর সঙ্গে ডার্ক মোড অন করা যায়। ফোনের চেহারাই বদলে যাবে।
এরপর কাস্টম আইকন প্যাক ইনস্টল করতে পারেন ইউজার। বেশিরভাগ অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনেই করা যায়। তবে আইফোনে সম্ভব নয়। আইওএস ১৮ ইউজাররা আইকনের কালার টোন বদলাতে পারেন। এর সঙ্গে কাস্টম লঞ্চারও পুরনো স্মার্টফোনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। নোভা-এর মতো লঞ্চার হোম স্ক্রিন কাস্টমাইজ করতে সাহায্য করবে।
যারা আরও এক ধাপ এগোতে চান, তারা কাস্টম রম ইনস্টল করতে পারেন। স্মার্টফোন আমূল বদলে যাবে। তবে এতে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। নিরাপত্তা নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হলে এটা করা ঠিক হবে না। কাস্টম ওএস বদল, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইনস্টল করাও উচিত। লেটেস্ট অ্যানড্রয়েড ওএস ভার্সনে আপগ্রেডও করে নেওয়া যায়।
এজেড