গত ৫ বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেখান থেকেই বোঝা যায় আগামী ৫ বছরে এআই মানবজাতিকে আরও কতটা যন্ত্রনির্ভর করে তুলে চলেছে। ইতিমধ্যেই শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ার চিন্তাশীল মানুষজন যন্ত্রের প্রতি এই নির্ভরতায় অত্যন্ত আতঙ্কিত। এই তালিকায় রয়েছেন ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়া হারারির মতো ব্যক্তিত্বও। অতি সম্প্রতি তার লেখা 'নেক্সাস: এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব ইনফর্মেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই' বইটি সর্বত্র সাড়া ফেলেছে।
গত কয়েক মাস ধরেই এই ইতিহাসবিদ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন, 'মানুষের মধ্যে কথা বলার প্রবণতাই কমে যাচ্ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত পড়ুয়ারা পাশাপাশি বসে নিজেদের মধ্যে নয়, মোবাইল ফোন খুলে চ্যাট করে চলেছে। এই প্রবণতা আদৌ সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক নয়।'
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে রাস্তা চিনতে অসুবিধা হলেও মানুষ আর মানুষের সঙ্গে কথা বলে না। মোবাইলে ম্যাপ দেখে রাস্তা ঠিক করে। অর্থাৎ প্রবণতা যখন প্রযুক্তিমুখী হয়, তখন সাধারণ মানুষের নিজেকে প্রযুক্তির হাতে সঁপে দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
আরও পড়ুন: ইমোজি কেন হলুদ রঙেরই হয়?
যেমন এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো যে চাকাটির অস্তিত্ব পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা, সেটি ৫ হাজার খ্রিস্টপূর্বে তৈরি। সেই হিসেবে বলা যায় মানুষ চাকা তৈরির প্রায় সাত হাজার বছর পর মোটরগাড়ি তৈরি করেছিল। আর প্রথম মোটরগাড়ি তৈরির ৭০ বছরের মধ্যেই মানুষ চাঁদে পাড়ি দেয়। এই উদাহরণ দিয়েই বিজ্ঞানীদের একাংশের আশঙ্কা, শুরুটা এক ভাবে হয় তার পর আর কোনও নিয়ন্ত্রণই মানুষের হাতে থাকে না। যন্ত্রই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর থেকে মুক্তি নেই।
বিজ্ঞাপন
এজেড