কানে দিয়ে গান শোনার সময় হঠাৎই স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ইয়ারবাডস বিস্ফোরণ ঘটেছে। যার মডেল স্যামসাং গ্যালাক্সি ইয়ারবাড এফই। এই দুর্ঘটনায় চিরতরে শ্রবণক্ষমতা হারান তুর্কির এক নারী। এমনই খবর প্রচার করেছে ভারতের এবিপি আনন্দ।
সংবাদ মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, স্যামসাংয়ের টার্কিশ ফোরামে এই ঘটনা জানিয়েছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারা। পুরো বিশ্বের নজরে আনতে চেয়েছেন এই ঘটনা। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে পোস্টও করেছেন তার প্রেমিক।
বিজ্ঞাপন
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা মোবাইল ফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গেই এই গ্যালাক্সি বাডস এফই কেনেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু এই এক ইয়ারবাডসেই বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল তার প্রেমিকার।
সেই ব্যক্তির পোস্ট থেকেই জানা যায় যে তিনি যখন সেই ইয়ারবাডস ব্যবহার করছিলেন তার চার্জ কমে এসেছিল ৩৬ শতাংশে। তারপর আর এটিকে চার্জ দেননি তিনি। কিছুক্ষণ পরে তার প্রেমিকা এসে সেই ইয়ারবাডসটি নিয়ে টেস্ট করার জন্য চালু করেন, মোবাইলের সঙ্গে কানেক্ট করেন। আর তারপর কানে লাগিয়ে চালু হতেই বিস্ফোরণ হয় ইয়ারবাডসে।
ফোরাম পোস্টে সেই ব্যবহারকারী এই নষ্ট হয়ে যাওয়া ইয়ারবাডসের ছবিও আপলোড করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এরপরে স্যামসাং কোম্পানির সঙ্গে কথা বলার পর সেই ইয়ারবাডস নিয়ে তারা দুজনেই যান স্যামসাংয়ের নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে। তারা যখন সেই হেডফোনটি দেখেন, যারপরনাই আশ্চর্য হন। দুদিন পরে সার্ভিস সেন্টার থেকে তাকে ফোন করা হয়, এমনকি কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিবেদনে বলা হয় এই হেডফোনটি বিস্ফোরণ হয়নি, কেবল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গুডউইল বজায় রাখার জন্য স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে একজোড়া নতুন ইয়ারবাড দেওয়ার কথা বলা হয় এই যুগলকে। এমনকি তারা এও বলে যে এই নতুন ইয়ারবাডস নেওয়া হোক বা না হোক, এই যুগল যদি চান আইনিভাবে এর প্রতিকার করতেই পারেন।
এই ফোরাম পোস্টে ব্যবহারকারী ক্ষোভ উগড়ে দেন যে বিগত কয়েক মাস ধরেই এই সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। তাদের কাছে সমস্ত নথি রয়েছে, ইয়ারবাডস কেনার ইনভয়েস, কবে বিস্ফোরণ ঘটেছে তার আগের ও পরের ছবি। চিকিৎসকের লিখে দেওয়া চিরস্থায়ী শ্রবণশক্তি হারানোর সার্টিফিকেট, কিন্তু তার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি, সুবিচার পাননি তারা। যে ছবি তারা আপলোড করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে যে, লেফট ইয়ারবাডসটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে। আর এতেই শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন নারী।
ইলেকট্রনিক্সের সরঞ্জাম বিস্ফোরণ হওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটে বহু মানুষের গুরুতর জখম হওয়ার মত ঘটনা এর আগে অনেক ঘটেছে। স্যামসাং কোম্পানির কাছে এর আগেও ব্যাটারি বিস্ফোরণ নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছিল, তা নিয়ে তোলপাড়ও হয়েছিল অনেক। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট ৭ সাগা মডেলটি নিয়েই উঠেছিল অভিযোগের ঝড় আর সংস্থা তারপর বাধ্য হয় এই ফোনের মডেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে।
তথ্যসূত্র: এবিপি আনন্দ লাইভ
এজেড